খেজুরির নৃশংস ধর্ষণ কাণ্ড ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। বছর চারেকের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে বছর পনেরোর এক নাবালক। অভিযুক্তের বাবা স্থানীয় বিজেপি কর্মী। অভিযোগ উঠেছে— ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বিজেপি নেতৃত্ব টাকার প্রলোভন দেয় শিশুর পরিবারকে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুটি নিয়মিতভাবে অভিযুক্তের দিদির কাছে টিউশন পড়তে যেত। ২২ অক্টোবরও একইভাবে পড়তে যায়। কিন্তু সেদিন দিদি অসুস্থ থাকায় নাবালক নিজেই পড়াচ্ছিল। অভিযোগ, সেই সুযোগেই শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে। বাড়ি ফিরে প্রথমে কিছু জানায়নি শিশুটি। কিন্তু পরে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং গোটা ঘটনা খুলে বলে।

শিশুর পরিবারের অভিযোগ, বিজেপির খেজুরি অঞ্চল সভাপতি কালীপদ মণ্ডল ঘটনাটি ‘মিটমাট’ করার চেষ্টা করেন। এমনকি এক সালিশি বৈঠকে পরিবারের হাতে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবার সেই প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে নাকচ করে দেয়।

এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। স্থানীয়দের দাবি, বিজেপি শুরু থেকেই অভিযুক্তকে রক্ষা করতে তৎপর ছিল। ন্যায়বিচারকে রুখতেই ‘হুশমানি’ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে পরিবারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তৎপর হয় এবং অভিযুক্ত নাবালককে গ্রেফতার করে।

তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা বলেন, “এটি অত্যন্ত জঘন্য এবং মানবতাবিরোধী ঘটনা। পুলিশ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছে, অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। যারা এমন অপরাধ করে তারা মানুষ নয়। কঠোরতম শাস্তি চাই। তৃণমূল সবসময় নির্যাতিতার পরিবারের পাশে আছে।”

তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি বারবার প্রমাণ করছে তারা শুধু রাজনৈতিকভাবে নয়, নৈতিক দিক থেকেও সম্পূর্ণ দেউলিয়া। একটি চার বছরের শিশুর উপর এমন নির্মম অত্যাচারের পরও যদি কেউ টাকার বিনিময়ে ন্যায়বিচার আটকানোর চেষ্টা করে, তবে সেটা রাজনীতি নয়— পৈশাচিকতা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।

আরও পড়ুন – জন্মদিনের কেক কাটবে দলিত ছেলে! পিটিয়ে খুন যোগীরাজ্যে

_

_
_
_


