সোম ও মঙ্গলবার ছটপুজো (Chat Puja)। এই উপলক্ষ্যে সোমবার বিকেলে প্রথমে তক্তাঘাটে ছটপুজোর সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর পরে যান দইঘাটে। আর দু-জায়গাতেই পূণ্যার্থীদের গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

অনুষ্ঠানে সামিল হয়ে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”ছটের পুজোর জন্য একাধিক ঘাট তৈরি করে দিয়েছি। সুরক্ষা ব্যবস্থা রেখেছি। যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। উপোস করে যারা রাস্তায় দণ্ডী কাটেন তাঁদেরকে আমার প্রণাম, আপনারা ভালো থাকুন। ভাষণ নয়, আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলার জন্যেই এখানে এসেছি। গত ২৫ বছর ধরে আমি এখানে আসছি। গোটা দেশজুড়ে এই উৎসব পালন হচ্ছে। সবাইকে অভিনন্দন জানাই। এ রাজ্যেও হচ্ছে। রাজ্য সরকারের তরফে দুই দিনের জন্যে ছুটিও দেওয়া হয়। এখান থেকে একাধিক ঘাটে ছট উৎসবের সূচনা করা হল। সব জায়গায় আমাদের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা আছেন।” 

পুজোর রীতি সম্পর্কে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান (Mamata Banerjee) বলেন, ”ছটপুজা সহজ নয়। ৩৬ ঘন্টা উপবাস করতে হয়। সবাই ভালো থাকুন। এই পুজোতেও সমস্ত ধর্ম, বর্ণের মানুষ যোগ দেন। এটাই আমাদের পরম্পরা। সব ঘাট আমরা সাজিয়ে দিয়েছি। কিছু পুকুর খনন করে দেওয়া হয়েছে। ঠেকুয়া আমি পাই। আমাকে প্রসাদ পাঠান সবাই। সবার কাছে অনুরোধ ধীরে সুস্থে গঙ্গার ঘাটে আসা যাওয়া করুন। হোল্ডিং এরিয়া শক্তপোক্ত করুন। মহিলা ও বাচ্চাদের নজর রাখুন। কারও গুজবে পা দেবেন না।” 

ছট ব্রত উদযাপনে গঙ্গায় নামার বিষয়ে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”এক সঙ্গে সবাই নামবেন না। আস্তে আস্তে নামবেন। পুলিশকে দেখতে বলব যাতে একদল উঠলে তার পরে অন্য দলকে নামতে দেয়।” সকলকে সতর্ক করে তিনি বলেন, ”কেউ বলল গোলমাল হয়েছে, এমন কারও কথা শুনে দৌড়াদৌড়ি করবেন না। এক জন দৌড়ে গেলে ৫০ জন দৌড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”

–

–

–

–

–
–


