বিহার নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি সেই রাজ্যে ভোটার তালিকা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী। আর তাতে ব্যাপক কারচুপি। তার জেরে সুপ্রিম কোর্টে কড়া সমালোচনার মুখে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এরপরেও একসঙ্গে ১২ রাজ্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে ফের এসআইআর ঘোষণায় সরব ইন্ডিয়া সরিক দলগুলি। ২০২৬ সালে নির্বাচনমুখী সব রাজ্যে এসআইআর (SIR) ঘোষণা হলেও অসমে কেন নয়, উঠেছে প্রশ্ন। বিজেপি ও কমিশনের যৌথ চক্রান্ত ভেস্তে দিতে সর্বদলের (all party meeting) ডাক তামিলনাড়ু মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের (M K Stalin)।

২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), তামিলনাড়ু (Tamilnadu), কেরালায় (Kerala)। তার আগে মাত্র এক মাসের মধ্যে ইনিউমারেশন-এর (enumeration) কাজ করবে নির্বাচন কমিশন। মাত্র তিন মাসের মধ্যে প্রকাশিত হবে সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা (voter list)। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের এই ঘোষণার পরে সরব ইন্ডিয়া জোট সরিক দলগুলি। স্বল্প সময়ে এসআইআর আদতে বিজেপি ও কমিশনের ভোট চুরির খেলা, দাবি তামিলনাড়ু মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের।

ফের একবার সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে সরাসরি ভাবে আধার কার্ডকে (Aadhaar card) নাগরিকত্বের দলিলের তালিকা থেকে বাদ রেখেছে নির্বাচন কমিশন। তার পিছনে সাফাইও দিয়েছেন জ্ঞানের কুমার। সোমবার কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকের পর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব। তাঁর প্রশ্ন এসআইআর-এর ক্ষেত্রে আধার কার্ডকে নাগরিকত্বের দলিল হিসেবে গ্রাহ্য না করা হলে, বাকি যে প্রমাণগুলি চাওয়া হয়েছে সেগুলি কীভাবে নাগরিকত্বের (citizenship) প্রমাণ হয়।

এসআইআর-এর মাধ্যমে বিজেপি সরকার যে কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোট চুরির খেলায় নেমেছে তা নিয়ে একযোগে সরব বিরোধীরা। আর সেখানেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে অসম নিয়ে। সমাজকর্মী যোগেন্দ্র যাদব থেকে কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলেছেন – ভোটমুখী পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরলে শুরু হচ্ছে এসআইআর (SIR)। কিন্তু বারো রাজ্যের তালিকা থেকে কেন বাদ অসম (Assam)? সেখানেও নির্বাচন ২০২৬ সালে। তবে এসআইআর প্রক্রিয়া থেকে কেন অসমের নাম বাদ রাখা হল।

বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এসআইআর-এর (SIR) সময় নিয়েও। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের প্রশ্ন, আগামী সপ্তাহ থেকে তামিলনাড়ুতে শুরু হচ্ছে এসআইআর। অথচ নভেম্বর, ডিসেম্বর মাস এই রাজ্যে প্রবল বর্ষার (monsoon) মাস। সেই সময়ের মধ্যে এত দ্রুত এবং অস্বচ্ছ পদ্ধতিতে এসআইআর প্রক্রিয়া চালানোর উদ্দেশ্যই হল বিজেপির ভোট চুরি (vote theft)। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিরোধী দলগুলিকে ২ নভেম্বর বৈঠকের আহ্বান জানান স্ট্যালিন।

আরও পড়ুন: কোনও বৈধ নাম বাদ গেলে তীব্র প্রতিবাদ-দিল্লিতে কমিশনের দফতর ঘেরাও: হুঁশিয়ারি তৃণমূলের

অসম নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি এসআইআর-এ ভোটারদের নাম বাদ নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। সুপ্রিম কোর্টে চরম ধাক্কা খাওয়ার পরও কমিশনের দ্রুততার সঙ্গে এসআইআর লাগু করা ভোট চুরির উদ্দেশ্যে, দাবি কংগ্রেসের। বিহারে (Bihar) ৬৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দেওয়ার পর এবার ১২ রাজ্য থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিতে এসআইআর প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে, বলে দাবি কংগ্রেসের।

–

–
–


