SIR ঘোষণার পরেই NRC আতঙ্কে আগরপাড়ায় (Agarpara) আত্মঘাতী হন প্রদীপ করের (Pradip Kar)। বুধবার, মৃত প্রদীপ করের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, “এলাকায় বিজেপির নেতারা এলে তাঁদের ঘিরে ধরবেন, বেঁধে রাখবেন। জানতে চাইবেন- ‘বাবা ঠাকুরদার সার্টিফিকেট নিয়ে আয়, তারপরে প্রচার করতে আসবি’।”

এদিন দুপুরে আগরপাড়ায় (Agarpara) বছর সাতান্নর প্রৌঢ়ের বাড়ি যান অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ (Nirmal Ghosh) ও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Patha Bhowmik)। সেখানে প্রদীপ করের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার পরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় গর্জে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, “আমি লজ্জিত, একটা রাজনৈতিক দল এতটা নীচে নামতে পারে! প্রদীপবাবু পরিষ্কারভাবে লিখে গেছেন, ‘আমরা মৃত্যুর জন্য দায়ী এনআরসি’, এরপরও বিজেপি রাজনীতি করছে।” এর পরেই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বার্তা, “এলাকায় বিজেপির নেতারা এলে তাঁদের ঘিরে ধরবেন, বেঁধে রাখবেন, জানতে চাইবেন- ‘বাবা ঠাকুরদার সার্টিফিকেট নিয়ে আয়, তারপরে প্রচার করতে আসবি’।”
আরও খবর:বাংলা জুড়ে একটাই স্বর, জাস্টিস ফর প্রদীপ কর: স্লোগান বেঁধে বৃহস্পতিবার মিছিলের ডাক অভিষেকের

তবে, একই সঙ্গে স্পষ্টভাষায় সতর্ক করে অভিষেক জানান, কারও গায়ে যেন হাত তোলা না হয়। বলেন, “বেঁধে রাখবেন, গায়ে হাত দেবেন না। আমরা কারও গায়ে হাত তোলায় বিশ্বাসী না।”

অভিষেক উল্লেখ করেন, একই আতঙ্কে কোচবিহারের দিনহাটায় আরও এক ব্যক্তি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এর পরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আশ্বাস দেন, আমরা থাকতে বাংলায় এনআরসি বা এসআইআরের নাম করে একজন প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দিতে দেব না। অভিষককে পাশে পেয়ে কিছুটা স্বস্তিতে মৃতের পরিবার।

–

–

–

–

–
–


