বাংলায় (Bengali) কথা বলার অপরাধে ‘বাংলাদেশি’ তকমা! দিল্লি (Delhi) থেকে এই অভিযোগে তাড়িয়ে দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের এক পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারকে। সেই অপমান, আতঙ্ক ও আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যেই হৃদরোগে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকের নাম সন্তোষ দাস (৫৫)।

বহরমপুর পুরসভার দয়ানগরের শিবনগর রোডের বাসিন্দা ছিলেন সন্তোষবাবু। দীর্ঘ ১৫-২০ বছর ধরে দিল্লিতে রঙের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন তিনি ও তাঁর পরিবার। দিল্লির যমুনা বিহার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। স্ত্রী পাতা দাস পরিচারিকার কাজ করতেন। ছেলে মিঠুন দাস যেতেন হাউসকিপিংয়ের কাজে। অভিযোগ, প্রায় আড়াই মাস আগে স্থানীয় পুলিশ তাঁদের ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন। বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়েও হেনস্তার শিকার হন তাঁরা। শেষপর্যন্ত প্রাণভয়ে স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফিরে আসেন সন্তোষ দাস। স্ত্রী পাতা দাসের কথায়, “সব কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও আমাদের বাংলাদেশি বলা হয়েছে। দিল্লিতে কাজ করে কোনও রকমে সংসার চলছিল। এখানে ফিরে আসার পর স্বামী সব সময় চিন্তায় থাকতেন — সংসার কীভাবে চলবে?” আরও পড়ুন: ব্লু লাইন মেট্রোতে পুরনো গেট বদলানোর সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের

প্রায় ১০ দিন আগে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাঁকে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই মৃত্যু হয় সন্তোষ দাসের। পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বহরমপুর পুরসভা। মৃতের শ্রাদ্ধের খরচ বহনের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে পুরসভার তরফে। পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি বলে তারা মুসলিমবিরোধী দল। অথচ বহরমপুরের হিন্দু শ্রমিক সন্তোষ দাসের পরিবারকে দিল্লিতে অবাঙালিরা ‘বাংলাদেশি’ বলে অত্যাচার করেছে। এর জবাব মানুষই দেবে।”

–

–

–

–

–

–


