উৎসবের মরশুম কিংবা বছরের বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে সিনেমা রিলিজ (Bengali movie release in Special Days) করা নিয়ে প্রযোজকদের মধ্যে কেমন যেন একটা প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। সম্প্রতি দুর্গাপুজোতে একসঙ্গে চারটে বাংলা ছবি মুক্তি নিয়ে যেভাবে কাটাছেঁড়া হয়েছে, সিনেমা হল (Cinema Hall) পাওয়া নিয়ে সমস্যার আঁচ পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে, তাতে আখেরে বাংলা ছবির নির্মাতা থেকে অভিনেতা -অভিনেত্রীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে দর্শকের কাছে। কিন্তু টলিপাড়া বুঝেছে এমনটা চলতে পারে না। ক্রিসমাসে একসঙ্গে বড় তিনটে বাংলা ছবি মুক্তির সিদ্ধান্ত বদল থেকে উৎসবের মরশুম বা উল্লেখযোগ্য দিনগুলোতে কীভাবে সিনেমা মুক্তি পাবে তা নিয়ে ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (FCTWEI president Swarup Biswas), ইমপার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত (Piya Sengupta, president of Indian Motion Picture Producers’ Association) এবং রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ স্ক্রিনিং কমিটি (Screening Committee) মিটিং করে অভিনব এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
![]()

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গের সব সিনেমা হলে বাংলা সিনেমাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রাইম টাইম শো (Prime Time Show) দেওয়ার ঘোষণা আগেই হয়েছে। কিন্তু তাতেও টলিউডের ছবি মুক্তির সমস্যা যেন কাটছে না। কেউ ক্ষমতা আর অর্থের জোরে বেশি শো পেয়ে যাচ্ছে, আবার অনেক ছবি ভালো হওয়া সত্ত্বেও সমান ভাবে দর্শকের কাছে পৌঁছচ্ছে না। তাই সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে মরিয়া টলিপাড়া। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে গোটা বছরে বাংলা ছবির মুক্তির জন্য ১১টি বিশেষ দিন নির্দিষ্ট করা হবে। এর মধ্যে থাকছে নেতাজির জন্মদিন, সরস্বতী পুজো, বাঙালির পয়লা বৈশাখ, মে মাসের দুটি পর্যায় অর্থাৎ যে সময় গরমের ছুটি থাকবে (১-১৫ মে ও ১৫-৩১ মে, ), ইদ, স্বাধীনতা দিবস, দুর্গাপুজো, কালীপুজো এবং বড়দিন। নিয়ম অনুসারে যে প্রযোজনা সংস্থা বছরে ছটি বড় ছবি নিয়ে আসবে তাদের বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হবে। তারা চারটি উৎসবের দিনে মুক্তির সুযোগ পাবে। এক বছরের চারটি ছবি করলে সে ক্ষেত্রে দুটি উৎসবের দিন মিলবে মুক্তির জন্য। আর যে প্রযোজকরা ২ বা ৩টি ছবি তৈরি করবেন তারা নিজেদের সিনেমা রিলিজের জন্য উপরের তালিকা অনুযায়ী উল্লেখিত দিনগুলোর মধ্যে যেকোনো একটা বিশেষ মরশুম পাবেন। নতুন নিয়মে শর্ত রাখা হয়েছে, কোনও বড় প্রযোজনা সংস্থা নির্দিষ্ট উৎসবের ছবি মুক্তির দিনগুলির আগে বা পরে টানা ১৪ দিনের মধ্যে, তাঁদের নতুন ছবি রিলিজ করতে পারবেন না।


সিনেপ্রেমীদের অনেকেই বলছেন এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে একদিকে যেমন বেশি ছবি করার ব্যাপারে প্রযোজক-পরিচালকদের উৎসাহ দেওয়া হবে, আবার এতে একই সময় একাধিক ছবি মুক্তির জট কাটানো সম্ভব হবে। যারা ভাল ব্যবসা করতে চাইবেন তারা উৎসবের দিন বা বিশেষ মরশুমকে টার্গেট করবেন। সেক্ষেত্রে সারা বছর তাদের বেশি সিনেমা উপহার দিতে হবে দর্শককে। তাতে আখেরে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হবে।

–

–

–

–

–

–
–
–


