বাংলাদেশের (Bangladesh) পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন বয়কট করবেন আওয়ামী লিগের সমর্থকেরা। বুধবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Seikh Hasina) এক সাক্ষাৎকারে এরকমি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করে রাখলে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বৈধতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। হাসিনা বলেন, “লক্ষ লক্ষ মানুষ আওয়ামী লিগকে সমর্থন করেন। এখন যদি তাঁদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, তবে সেটি কোনোভাবেই বৈধ গণতন্ত্র হতে পারে না।” তিনি আরও জানান, আওয়ামী লিগের সমর্থকদের অন্য কোনো দলকে ভোট দিতে তিনি উৎসাহিত করবেন না, তবে ন্যায্য প্রতিযোগিতার সুযোগ পেলে আওয়ামী লিগ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত।

সাক্ষাৎকারে হাসিনা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার মাধ্যমে তাঁকে এবং তাঁর দলকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। তাঁর ভাষায়, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই রাজনৈতিক প্রতিশোধের অংশ।” প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেশে ফিরবেন কেবল তখনই, যখন বাংলাদেশে ‘বৈধ ও সাংবিধানিক সরকার’ প্রতিষ্ঠিত হবে। আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশি’ তকমায় আতঙ্ক শ্রমিকের! দিল্লি থেকে ফিরে মৃত্যু

উল্লেখ্য, গত বছর আগস্টে জনবিক্ষোভের মুখে হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে চাপ বাড়তে থাকে। গত মে মাসে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যেই আওয়ামী ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মে মাসেই অবশ্য আওয়ামী লিগের স্বীকৃতি বাতিল করেছিল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। তবে দেশজুড়ে আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ রাখলে ভোটের বৈধতা থাকবে না। তাই তাঁর সমর্থকদের এই নির্বাচন বয়কট করার ডাক দিয়েছেন।

–

–

–

–

–
–


