এক পোষ্যের রক্ত আরেক পোষ্যকে দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিল অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথলজিকাল ল্যাব। এবার সেতারের মেরজাব (Plectrum) খেয়ে ফেলা চারমাসের বিগল (Beagle Puppy) কুট্টুসের অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা হল সেখানে। আপাতত নিশ্চিন্ত পরিবার।

ঘটনাটি কিছুদিন আগের। চারমাসের বিগল প্রজাতির কুকুরটি (Beagle Puppy) তার মানবী দিদির সেতার শিক্ষকের মেরজাবটি (বাজানোর সময় আঙুলে পরা হয়) মুহূর্তে গিলে ফেলে। তার পর থেকে ঠিকই ছিল কুট্টুস। বাড়ির লোক ভাবে হয়ত মলের সঙ্গে সেটি বেরিয়ে যাবে। কিন্তু তা না হওয়ায় তাকে বেলগাছিয়ার পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে, সেটা যে পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তারা যন্ত্রাংশ বের করতে চেয়েছিল তাতে রাজি হয়নি কুট্টুসের পরিবার। পরে তারা যান অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথলজিকাল ল্যাবে (Animal Health Pathological Lab)। সেখানেই এন্ড্রোস্কোপির মাধ্যমে পেট থেকে সব রকম ফরেন বডি বের করা হয়। এখন একেবারেই সুস্থ চারমাসের সারমেয় (Dog)। বাড়ির লোকেরাও নিশ্চিন্ত। অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথলজিকাল ল্যাবকে ধন্যবাদ জানিয়েছে কুট্টুসের পরিবার।

প্রতীপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে অ্যানিম্যাল হেলথ প্যাথলজিকাল ল্যাব পোষ্যদের চিকিৎসার আধুনিক সব যন্ত্র বসিয়েছে। সংস্থার দাবি, এইভাবে এন্ড্রোস্কোপির মাধ্যমে চারপেয়েদের শরীরের ভিতর থেকে ফরেন বডি বের করার পদ্ধতি পূর্ব ভারতে কোথাও নেই।

–

–

–

–

–

–

