এসআইআর নিয়ে বাংলার বুকে নতুন খেলা নিয়ে নামতেই কমিশনের কারচুপি ফাঁস করে দিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ইচ্ছামতো কখনও নাম ঢুকিয়ে, কখনও নাম বাদ দিয়ে বাংলার ভোটারদের বদলে কেন্দ্রের বিজেপির নির্বাচিত সরকার গঠন করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ভোটার তালিকা (voter list) থেকে যথেচ্ছ নাম বাদ চলে যাওয়ার কারচুপি তুলে ধরতেই রাজ্য প্রশাসন তথা জেলা প্রশাসনের (district administration) ঘাড়ে দায় ঠেলা শুরু নির্বাচন কমিশনের।
রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে একই প্যাটার্নে ভোটাদের (voter) নাম বাদ দেওয়ার খেলা শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নাটাবাড়ি, মাথাভাঙা, অশোকনগর ও বসিরহাট জুড়ে একের পর এক ভোটকেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে নাম মুছে যাওয়ার ঘটনা। বসিরহাটের এক বুথে তো ৮৫৯ থেকে ৮৯২ পর্যন্ত পুরো সারিটাই ফাঁকা। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই গোটা প্রক্রিয়াকে আখ্যা দেওয়া হয়েছে সাইলেন্ট ইনভিসিবল রিগিং (চুপি চুপি ভোট কারচুপি) (silent invisible rigging) বলে। এপর্যন্ত তা নিয়ে এখনও কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা থেকে রহস্যজনকভাবে নাম উধাও বসিরহাটে,ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব ফাঁস তৃণমূলের
তবে এবার সরাসরি জবাব দেওয়ার বদলে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) দায় ঠেলে দিচ্ছে জেলাশাসকদের (District Magistrate) ঘাড়ে। এই কৌশল কার্যত দায় এড়ানোর পুরনো খেলা, যা এর আগে বিহারের (Bihar assembly election) ভোটার তালিকা নিয়ে ওঠা বিতর্কের সময়ও দেখা গিয়েছিল। এভাবেই সেখানেও রাজ্য প্রশাসনের ঘাড়ে দায় ঠেলে, বিএলওদের (BLO) জেলে পাঠিয়ে নিজেদের হাত ঝাড়তে দেখা গিয়েছিল কমিশনকে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন, এই প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করে বাঙালি ভোটারদের বেছে বেছে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, আর সেটিকে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক ধোঁয়াশার আড়ালে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি— যদি বৈধ ভোটারদের (legitimate voter) নাম এভাবে মুছে দেওয়া হয়, তবে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর ‘নির্বাচন সদন’-এর দরজায় পৌঁছাবে বাংলার প্রতিবাদ।
–
–
–
–
–
–