জেমাইমা রদ্রিগেজের(jemimah rodrigues ) দুরন্ত ইনিংসে ভর করেই একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে(ICC ODI World Cup) উঠেছে ভারতীয় মহিলা দল। ব্যর্থতার অন্ধকার থেকে সাফল্যের আলোয় জেমাইমা। স্মৃতি-হরমনপ্রীতদের ছাপিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন রাণী। কিন্তু জেমাইমার নায়িকা হয়ে উঠার নেপথ্যে রয়েছেন একজন মুম্বইকর। তিনি অমল মজুমদার(India head coach Amol Muzumdar)। ভারতীয় দলের হেড কোচ।

ম্যাচের আগে কেউই ভাবেনি, জেমাইমা তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামবেন। অবাক করা বিষয় হলো, ম্যাচ শুরুর মাত্র পাঁচ মিনিট আগে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন অমল। জেমাইমাকে পাঁচ নয় তিন নম্বর স্থানে পাঠান ব্যাট করতে। জেমাইমা নিজেও জানতেন না এই পরিবর্তনের কথা। ফ্রেশ হওয়ার পর ওয়াশরুম থেকে বেরোতেই তাকে জানানো হয় যে তিনি তিন নম্বরে নামবেন।

আসলে দুই ওপেনার দ্রুত আউট হওয়ার পর একজনকে দরকার ছিল যিনি ইনিংস ধরতে পারেন। কারণ বড় রান তাড়া করতে গেলে সবার আগে দরকার ক্রিজে টিকে থাকা। জেমাইমাকে কঠিন দায়িত্ব দেন কোচ। না হতাশ করেননি ম্যাচের রঙ বদলে দিলেন জেমাইমা। সঙ্গে নিশ্চিত করলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট।

ম্যাচের পর আবেগপ্রবণ জেমাইমা বলেন, ‘আমি জানতাম না আমাকে তিনে নামতে হবে। ফিল্ডিংয়ের পর যখন সাজঘরে ফিরু তখনও জানতাম আমি পাঁচে ব্যাট করব, সেই ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। দল ব্যাট করতে নামার পাঁচ মিনিট আগে আমাকে বলা হয় তিনে ব্যাট করতে নামতে।’

এর আগের বিশ্বকাপে দলে সুযোগ হয়নি। প্রবল মানসিক যন্ত্রণায় অবসাদে ভেঙে পড়েছিলেন একসময়। নিজেকে জাতীয় দলে ফিরে আসার লড়াই শুরু করেন সঙ্গী ছিবল বাইবেল। এবারের বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম মাচে শূন্য করেছিলেন। পরবর্তী তিনটি ম্যাচে রান না পাওয়ায় বাদও পড়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতেই কোনও মতে মাইক্রোফোনটা হাতে নিয়ে জেমাইমা আবেগে ভাসালেন সবাইকে। বোঝালেন বড় প্লেয়াররা বড় ম্যাচেই জ্বলে উঠেন।

–

–

–
–


