অতি দ্রুত এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু। একাধিক সমস্যার মধ্যেও সক্রিয়ভাবে যোগদান বিএলও-দের। বাড়ি বাড়ি ফর্ম ফিলাপের (form fill up) কাজ শুরুর পরে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে সুষ্ঠুভাবে কাজ হওয়ার বিবৃতিও জারি হয়েছে। তা সত্ত্বেও একাধিক সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন এলাকায় বিএলও-দের (BLO) কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারি কর্মীদের কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। বাস্তব না জেনে একশ্রেণির মানুষের এই অপপ্রচারকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল (TMC)।

মঙ্গলবার সকাল থেকে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় বাড়ি বাড়ি ফর্ম ফিলাপের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যে বিএলও-রা স্কুলের ডিউটি সামলে কর্তব্যের টানে এলাকায় ঘুরে নির্বাচন কমিশনের হয়ে কাজ করছেন, তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের ঘরে বসে বা চায়ের দোকানে বসে ফর্ম বিলির অভিযোগও তোলা হয়েছে।

যারা অভিযোগ করছেন, তাঁরা যে না জেনে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন, সেই বিষয়েই তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দাবি, যাঁরা বলছেন বিএলও-দের নিয়ে বলছেন, তাঁরা সত্যের অপলাপ করছেন। বিএলও-রা বাড়ি বাড়ি গিয়েই ফর্ম দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন: বিরোধীদের কুৎসায় কালি: রাজ্যে SIR প্রক্রিয়ার প্রথমদিন শান্তিপূর্ণ, তথ্য পেশ কমিশনের

সেক্ষেত্রে বিএলও-দের বাস্তব সমস্যা স্পষ্ট করে তিনি দাবি করেন, কিছু ক্ষেত্রে বাড়ির অদ্ভুত নম্বর। জটিলতার কারণে সাহায্য নিতে হচ্ছে বিএলও-দের (BLO)। আবার কোথাও হাউসিং-এ (housing complex) বাইরের অপরিচিত লোকের প্রবেশ নিষেধ। সেক্ষেত্রে বিএলও-দের ভিতরে ঢোকানোর জন্য সমস্যা হচ্ছে। আবার কোনও ক্ষেত্রে হাউসিং বা কোনও এলাকায় ঢুকে যাওয়ার পরে ইন্টারনেটের সমস্যায় বাইরে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন বিএলও-রা। এই সমস্যাগুলো না বলে যারা দোষ দিচ্ছেন, তাঁরা সত্যের অপলাপ করছেন। তাঁরা হয় বিষয়গুলো জানেন না, বা জেনেও মিথ্যাচার করছেন।

–

–

–

–

–
–


