৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (KIFF) উদ্বোধনের মঞ্চে বাংলার সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণ দেওয়া হল বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায় (Aroti Mukharjee) ও অভিনেতা-সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে (Shatrughna Sinha)। সম্মান পেয়ে আবেগাপ্লুত বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভূয়সী প্রশংসা অভিনেতা-সাংসদ শত্রুঘ্নর। মঞ্চে সম্মান জানানো হয় বলিউডের পরিচালক রমেশ সিপ্পিকেও। এই বছর KIFF-এর ফোকাস কান্ট্রি পোল্যান্ড।
বঙ্গবিভূষণ সম্মানে পেয়ে মঞ্চে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, “ভারতীয় ছবি আমাদের গর্ব। গত পাঁচ বছর ধরে আমি প্রতিবার আসছি। তবে এবার আমি সত্যি খুব খুশি ও অবাক হয়েছি। কারণ আমি সত্যি এটা জানতাম না। এখানে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) থেকে জানলাম, আমি বঙ্গবিভূষণ সম্মান হলাম।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন শত্রুঘ্ন। তাঁর কথায়, দক্ষ রাজনীতিবিদের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধারে লেখা, কবি, গীতিকার, সুরকার, শিল্পী। আপ্লুত শত্রুঘ্ন বলেন, “পাঁচ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আসছি। বঙ্গবিভূষণে পেয়ে আমি আপ্লুত। আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্যও অনেক ধন্যবাদ। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তাঁর আমন্ত্রণে তো আসতেই হয়। কলকাতায় এত বড় উৎসবের অংশ হতে পেরে আমি আপ্লুত।”
আরও খবর: তারকাখচিত মঞ্চে গুণীজন সংবর্ধনা দিয়ে শুরু ৩১তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
বঙ্গবিভূষণে সম্মানিত হয়েছেন আরতি মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাঁর উদ্দেশ্যে বললেন, “আরতি মুখোপাধ্যায়কে আমরা সেভাবে কিছুই দিতে পারেনি। বললাম, আপনি হয়তো অনেক পেয়েছেন জীবনে। আমাদের এই পুরস্কার যে আপনি গ্রহণ করলেন আমি কৃতজ্ঞ। আমরা আপনার সুস্থতা কামনা করি। গানের মধ্যেই থাকবেন। কত সুর, কত গান, আমাদের সব মনে পড়ে।” মমতার বক্তব্যের মধ্যেই থামিয়ে আবেগঘন বর্ষীয়ান গায়িকা বলেন, “আমি কিন্তু খুব ভালবেসে নিয়েছি। মমতা তুমি যেভাবে সকলের পাশে থাকো, সেটা সত্যিই অনুপ্রেরণা জোগায়। যখনই কোনও সমস্যা হয়, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাও। আমি প্রথমবার এমন একজন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখলাম, যিনি এই বিষয়টা নিয়ে ভাবেন। সত্যি বলছি। আমি সব সময় বলি মমতা যেভাবে শিল্পীদের সম্মান করে এবং পাশে থাকে সেভাবে কেউ থাকে না।” বর্ষীয়ান গায়িকার সংযোজন, “আমি যখন মমতার হাত থেকে সম্মান নিলাম, কেঁদে ফেলেছি। তুমি ভালো থেকো।”
–
–
–
–
–
–
–