ভারতীয় ফুটবলে বিপণন করার কেউ নেই।দেশের সর্বোচ্চ লিগ না হলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ভারতীয় ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এবার সরব হলেন, ঈস্টবেঙ্গলের দুই ফুটবলার সৌভিক চক্রবর্তী(Souvik chakraborty) ও দেবজিৎ মজুমদার(Debjit majumdar)।
ফেসবুকে সৌভিক লিখেছেন, ‘আইএসএলের বিডের এই ব্যর্থতা শুধু ব্যবসায়িক ধাক্কা নয়। আমার মতে, এটা দেখায় যে ভারতীয় ফুটবলকে সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। যখন দেশের সেরা লিগই অনিশ্চিত, তা দেশের তৃণমূল স্তরেও প্রভাব ফেলে। প্রতিটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত প্লেয়ার, কোচ, সাপোর্ট স্টার ও অসংখ্য ভক্তরা একটা পথ দেখতে চায়। যেখানে কেউ দায়িত্ব নিয়ে ভরসা দেবে।’

আইএসএল আয়োজনের জন্য প্রথমে ৫ নভেম্বর বিড পেপার জমা দেওয়ার শেষ দিন রেখেছিল ফেডারেশনের টেন্ডার কমিটি। পরে সেটা বাড়িয়ে ৭ নভেম্বর করা হয়। কিন্তু দু’দিন বাড়ানোর পরও এফএসডিএল-সহ কোন সংস্থা আইএসএলের জন্য বিড করেনি। ফলে আইএসএল হওয়া নিয়েই বিরাট প্রশ্নচিহ্ন।

সৌভিকের সতীর্থ দেবজিৎ মজুমদারও ফেসবুকে লিখেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে, আমার প্রিয় ভারতীয় ফুটবলকে এত অনিশ্চয়তার মধ্যে দেখে আমার খুব খারাপ লাগছে। ফুটবল সবসময়ই আমার মুক্তি, আমার আবেগ, আমার সবকিছু। কিন্তু এই খেলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হওয়ায় হৃদয় যন্ত্রনা ভারাক্রান্ত। তবুও আমরা খেলা চালিয়ে যাই। আশা করি খেলার প্রতি এই ভালোবাসাই আমাদের পথ দেখাবে।’

যদিও ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত আগেই জানিয়েছেন, “আমার আস্থা আছে যে ভারতীয় ফুটবল বন্ধ হবে না। যে কোনও উপায়ে খেলা হবে। আরও একটু সময় পেলে আরও মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে আগামী দিনগুলো ভাল করার চেষ্টা হবে। খেলা হবে। ফেডারেশন, ক্রীড়ামন্ত্রক নিশ্চয়ই সুব্যবস্থা করবে। হয়তো নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হবে না। পরিকাঠামো, নিয়মবলীর পরিবর্তন হলেও খেলা হবে। দরকার হলে বিসিসিআই এক দুই বছর আইএসএলের দায়িত্ব নিক, তাদের কাছে ১০০,১৫০ কোটি কোনও বিষয় নয়।”



