প্রতিদিন ক্রমশ অবনতি হচ্ছে রাজধানীর পরিবেশের। দূষণের জেরে নিঃশ্বাস নেওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চোখের সমস্যা, শ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। দেশের রাজধানীতে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে চেয়ে রবিবার আন্দোলনের নামেন রাজধানীর সাধারণ মানুষ। ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) সামনে স্কুল পড়ুয়া থেকে কলেজ পড়ুয়া সকলের আন্দোলনে গ্রেফতারি ও ধরপাকড় করে নজিরবিহীন শাসনের সাক্ষী থাকল রাজধানী দিল্লি (Delhi)।

প্রতিদিন ক্রমশ অবনতির দিকে দিল্লির বায়ু দূষণ(air pollution)। সোমবারও দিল্লি পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী সকাল সাতটায় দিল্লির একিউআই (AQI) ছিল ৩৭২, যা অতি খারাপের মধ্যে পড়ে। রবিবার থেকে বেশ কিছু এলাকার একিউআই ৪০০ পার করেছে। রাজধানীতে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার দাবি জানিয়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দা, শিশু থেকে যুবসমাজ। দাবি করা হয় রাজধানীতে (capital) ‘স্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা’ (health emergency) জারি করার জন্য ও প্রশাসনের তরফ থেকে সদর্থক পদক্ষেপের।

এদিন গুরুতর অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। দাবি করেন রাজধানীর ধনী মানুষেরা এয়ার পিউরিফায়ার কিনে বা দূষণমুক্ত এলাকায় সরে গিয়ে নিজেদের জীবন বাঁচাতে পারবেন। কিন্তু সাধারণ স্কুল পড়ুয়া, ছাত্রছাত্রী থেকে গাড়ি চালক, পথের সাধারণ ব্যবসায়ীরা কিভাবে রক্ষা পাবেন দূষণ থেকে? তার সুষ্ঠু সমাধান দাবি করা হয়। অনেকেই জানান প্রতি শীতে তাঁরা বুকে ব্যথার (chest pain) শিকার হন অনেকেই। কাশির (cough) সঙ্গে রক্ত বেরোয় দূষণের (air pollution) কারণে। সরকার পরিবর্তন হলেও দূষণ পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয় না, অভিযোগ তোলেন তারা।

আরও পড়ুন: নদীপথে দূষিত রাসায়নিক! দিল্লি দূষণের ছায়া চেন্নাইতে, আশঙ্কায় ৫০০ মৎস্যজীবী পরিবার

আন্দোলনের জেরে বেগতিক দেখে সাধারণ নাগরিকদের গ্রেফতারির পথে হাঁটে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। রাত বাড়তেই পুরুষ, মহিলা, ছাত্র থেকে শিশুদেরও গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয়। নারেলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

–

–

–

–

–


