রাজ্য সরকারের মুকুটে আরও একটি সাফল্যের পালক। কেন্দ্রের আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে এ বার জাতীয় স্বীকৃতি পেল রাজ্য সরকারের ‘যাত্রী সাথী’ প্রকল্প। শহুরে পরিবহনে অসাধারণ অবদানের জন্য এই প্রকল্পকে দেওয়া হয়েছে ‘এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘বেস্ট আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট’-এর রানিং ট্রফি। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপকে শহরাঞ্চলে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার কারণে সেরার পুরস্কার দিল কেন্দ্রীয় সরকারের আবাসন ও নগরেন্নয়ন মন্ত্রক। এই প্রকল্পকে এক্সিলেন্স পুরস্কার ও বেস্ট আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের রানিং ট্রফি দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকার শহুরে পরিবহন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও নাগরিক সুবিধাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে শুরু করেছিল ‘যাত্রী সাথী’। ক্যাশলেস ট্রানসেকশন, রিয়েল-টাইম ম্যাপিং, নিরাপদ যাত্রা ছিল এই পরিবহণ ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য। স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই প্রকল্প জনপ্রিয় হয়ে ওঠে শহর কলকাতায়। বাংলাজুড়েই শহুরে পরিবহণে গুরুত্ব বাড়তে থাকে যাত্রী সাথী প্রকল্পের। এবং জাতীয় স্তরে তা ক্রমেই মডেল হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী এক্স বার্তায় জানান। এদিন পর্যন্ত ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপ ব্যবহার করে মোট ১.৪২ কোটির বেশি যাত্রা সম্পন্ন হয়েছে। উপকৃত হয়েছেন ১.৩ লক্ষেরও বেশি চালক এবং এই পরিষেবার সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ৪৫ লক্ষ যাত্রী। রাজ্যের এই মডেল ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্য গ্রহণ করতে শুরু করেছে। ভারতকে পথ দেখাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, এই স্বীকৃতি বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত। এই অসাধারণ কাজের সঙ্গে যুক্ত সকলকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আবারও প্রমাণ হল বাংলা আজ যা ভাবে, ভারত আগামীকাল তা ভাবে।

আরও পড়ুন- প্রতিশ্রুতি রেখেই ফের উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী, বন্যা–ধসের ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা

_

_



