আমেরিকায় চলা দীর্ঘতম শাটডাউন (Shutdown) শেষ হল। ১ অক্টোবর থেকে আমেরিকায় (America) অচলাবস্থা শুরু হয়েছিল। ‘স্পেন্ডিং বিল’ অর্থাৎ ব্যয় বরাদ্দ নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা একমত না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের অচল হয়ে যায় আমেরিকা। বুধবার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এ ভোটাভুটিতে এই বিষয়ে সমঝোতা চুক্তির পক্ষে ২২২ ভোট ও বিপক্ষে ২০৯ ভোট পড়ে। স্পেন্ডিং বিল পাশ হওয়ার পরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) তা স্বাক্ষর করায় আমেরিকার দীর্ঘতম শাটডাউন (Shutdown) শেয় হয়।
সরকারের বিভিন্ন দফতরে কাজ চালানোর জন্য প্রতি অর্থবর্ষে অর্থিক বরাদ্দ করে মার্কিন কংগ্রেস। ১ অক্টোবর থেকে সেদেশে অর্থিক বছর শুরু হয়। সেনেট সদস্যদের ব্যয় বরাদ্দের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এই সময়ের মধ্যে নিতে হয়, না হলে দফতরের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। এটাই শাটডাউন। এই সময়ে শুধুমাত্র আপৎকালীন পরিষেবা চালু থাকে। কর্মীরা বেতনও পান না। শাটডাউন শেষ হলে ফের সব দফতর চালু হয়। তখন কর্মীরাও বেতন দেওয়া হয়। এবার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের অধিবেশন সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি স্থগিত হয়ে যায়।
সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে শাটডাউন শেষ করার ও সরকারকে তহবিল যোগানোর একটি প্রস্তাব পাশ হয়। বুধবার সেটিই অনুমোদন করেছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস। শাটডাউন তুলে দেওয়ার পক্ষে ২২২টি ভোট পড়ে। দলীয় অবস্থান থেকে সরে সমর্থন জানান ৬জন ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি। বিপক্ষে ২০৯ ভোট পড়ে। শাটডাউনের জন্য ডেমোক্র্যাটদেরই দোষারোপ করেন ট্রাম্প। বলেন, “অনেককেই ছাঁটাই করা হবে। কিন্তু তা আমরা করতে চাই না।“ শাটডাউনের জেরে ক্ষতি হয়েছে ১ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকার। তবে অর্থনীতির বৃহৎ ক্ষেত্রে তার কী প্রভাব পড়বে তা আগামী দিনে বোঝা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে বাজেট ও স্বাস্থ্য নীতিতে যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে তা মনছেন সকলে।
আরও খবর: ১ কেজি পেঁয়াজ বেচে ২টাকাও জুটল না! মধ্যপ্রদেশে মিডলম্যানদের উৎপাতে দিশাহারা কৃষকরা
–
–
–
–
–
–
–
