প্রতি বছর মুরগির (Chicken) খাবারের দাম গড়ে ১২ শতাংশের কাছাকাছি বাড়িয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র (Centre)। যার ফলে যোগানে ঘাটতি না থাকলেও বেড়ে যাচ্ছে ডিমের দাম (Egg Price)। এই বিষয় নিয়ে মঙ্গলবারের প্রশাসনিক বৈঠকে থেকে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, এই নিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বাংলার ডিম–সরবরাহ ও কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন নিয়ে সরকার যে নিরন্তর উদ্যোগ নিচ্ছে, তা আড়াল করতেই এই সমালোচনা।
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিম নিয়ে অনেকে বড় বড় কথা বলছেন। মনে রাখবেন, আমরা ১২টি রাজ্যে ডিম পাঠাই। আর ডিমের দাম (Egg Price) কেন বেড়েছে, তা নিয়ে যাঁরা কথা বলছেন, তাঁদের বলব, তাঁরা যেন তাঁদের নেতাদের গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, প্রতি বছর মুরগিদের খাবারের দাম ১২ শতাংশ করে কেন বাড়াচ্ছে কেন্দ্র? আমরা ভুট্টা চাষ করে চেষ্টা করছি মুরগিদের খাবার জোগান দেওয়ার। ইলিশ মাছ, পেঁয়াজ এখন বাংলায় উৎপাদন হচ্ছে। পেঁয়াজের হিমঘর তৈরি হয়েছে।”

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তথ্য-সহ জানান রাজ্যের আর্থিক দায়বদ্ধতা ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে ব্যয়ের পরিমাণ। খাদ্যসাথী প্রকল্পে ৯ কোটি মানুষ অনুদানমূলক খাদ্যসামগ্রী পান। শুধু এই প্রকল্পেই রাজ্যের খরচ হয়েছে এক লক্ষ ন’হাজার কোটি টাকা। ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সাত কোটি ৪১ লক্ষ মানুষ, যার জন্য ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। ‘বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’র খাতে খরচ হয়েছে দু’হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি। সুবিধাভোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯২ লক্ষ।
আরও খবর: ফেব্রুয়ারিতে পাওনা টাকা দিয়ে মার্চ মাসে ফেরত! বকেয়া নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

ডিম ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের বাজারমূল্য নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিসংখ্যান–ভিত্তিক ব্যাখ্যা, প্রশাসন ও জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতার প্রতিফলন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

–

–

–

–

–

–

