কোচবিহারের পর এবার কৃষ্ণনগর। ফের এসআইআর-প্রতিবাদ সভায় ঝড় তুলবেন জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার সভা উপলক্ষে কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে সবরকম প্রস্তুতি সারা। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ও জেলা পুলিশের তরফে দফায় দফায় এই জনসভার প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখা হয়েছে। শুধু কৃষ্ণনগর নয়, গোটা নদিয়া জেলা অপেক্ষা করছে নেত্রীর কথা শোনার জন্য। মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান, জেলার কর্মীদের মধ্যে এত উৎসাহ তা সামাল দিতেই আমরা হিমশিম খাচ্ছি। ইতিমধ্যেই শুধুমাত্র আমার ব্লক থেকেই দেড়শো বাসে দূরদূরান্ত থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনার জন্য তৃণমূল কর্মীরা আসছেন। জেলার চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান জানিয়েছেন, নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলায় প্রায় এক বছর পরে আবার মুখ্যমন্ত্রী সভা করতে আসছেন এই কারণে মধ্যেই নদিয়ার মানুষের উৎসাহ দ্বিগুণ, বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের অধিক তৃণমূল কর্মী সেদিন বাসে করে মুখ্যমন্ত্রী সভায় পৌঁছবেন, এছাড়াও আসবেন ততধিক সংখ্যার সাধারণ মানুষ। এবং ২০২৬-এর ভোটের আগে এই সভা প্রমাণ করে দেবে জেলায় তৃণমূলের শক্তি এখনও বটবৃক্ষের মতো।
কৃষ্ণনগরে এদিন একটি প্রশাসনিক ও একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। সরকারি অনুষ্ঠান থেকে রাস্তা নির্মাণের মেগা প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। প্রায় কুড়ি হাজার কিলোমিটারের বেশি রাস্তা তৈরি করতে ৮৪৮৭ কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে। সরকারি সভা থেকে পথশ্রী ও রাস্তাশ্রী প্রকল্পের চতুর্থ পর্বে প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার রাস্তার কাজের সূচনা। ৬,৯৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পঞ্চায়েত দফতরের আওতায় ৯,১১৪টি রাস্তার কাজের শিলান্যাস। শহরাঞ্চলে, অর্থাৎ কেএমডিএ-র অধীনে তৈরি হবে ১১,৩৬৫টি রাস্তা, ব্যয় ধরা হয়েছে ১,৫০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পেরও সূচনা করবেন। রিমোট টিপেই এই কাজের সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুরে হেলিকপ্টারে করে কৃষ্ণনগর পৌঁছে প্রথমে সরকারি অনুষ্ঠান করার পর রাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

–

–

–

–

–

–

–

–


