Saturday, December 13, 2025

তথ্য প্রযুক্তি, গবেষণা থেকে গ্রাহক পরিষেবা: দেশের উন্নয়নের নেতৃত্বে GCC

Date:

একসময়ের একটি সাধারণ সাপোর্ট ডেস্ক। এখন গবেষণা, নকশা ও উন্নয়নে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। ভারতে তৈরি হয়েছে ১৭০০-টিরও বেশি গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টার (GCC)। বিদেশী ইউনিটগুলি (Foreign units) তথ্য প্রযুক্তি, গবেষণা এবং গ্রাহক পরিষেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা প্রদান করে, যা মূল কোম্পানিগুলিকে খরচ কমাতে, দক্ষ কর্মী নিশ্চিত করতে এবং বিশ্বজুড়ে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ভারতে (India) বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া, IT পরিষেবা, গবেষণা ও উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য GCC স্থাপন করেছে, যা দ্রুত উদ্ভাবনের কৌশলগত কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ অর্থবর্ষ- মাত্র পাঁচবছরে তাদের সম্মিলিত আয় বার্ষিক ৯.৮% হারে বৃদ্ধি পেয়ে ৪০.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬৪.৬ বিলিয়ন পৌঁরে পৌঁছেছে। বর্তমানে এই জিসিসিগুলি দেশজুড়ে ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে এবং বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রগতিশীল নীতি ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এই পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, দিল্লি, পুনে, মুম্বই এবং চেন্নাই-এর কেন্দ্রগুলি ভারত গ্লোবাল কেপেবিলিটি সেন্টারের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে উঠে এসেছে। গত পাঁচ বছরে ৪০০ -এরও বেশি নতুন জিসিসি এবং ১,১০০-টি ইউনিট তৈরি হয়েছে। মহাকাশ বিজ্ঞান, প্রতিরক্ষা এবং সেমিকন্ডাক্টরের মতো ক্ষেত্রে জিসিসিগুলি ভারতের বাস্তুতন্ত্রকে কেন্দ্রীভূত করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ২,৪০০টি কেন্দ্র এবং ২.৮ মিলিয়নেরও বেশি পেশাদার কর্মী দ্বারা সমর্থিত সেক্টর ১০৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ভারতের GCC বৃদ্ধির প্রধান কারণ পরিকাঠামো, উদ্ভাবন, প্রতিভা বিকাশ এবং সহায়ক নীতিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা। ফলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বৃদ্ধি পেতে, সহযোগিতা করতে এবং উদ্ভাবন করতে পারছে। স্টার্টআপগুলিকে বাড়িয়ে তোলা থেকে শুরু করে ডিজিটাল দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলা পর্যন্ত, এই পরিবেশটি জিসিসিগুলির উন্নতি লাভ ও রূপান্তরমূলক পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের জিসিসিগুলি এখন আর শুধুমাত্র ব্যাক-অফিস নয়, মহাকাশ, প্রতিরক্ষা ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো ক্ষেত্রে কৌশলগত গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে-ও পরিণত হয়েছে। দক্ষ কর্মীবাহিনী, ব্যবসায়িক সংস্কার এবং উদার এফডিআই নীতির সহায়তায় এই পরিবর্তন ভারতকে ডিজিটাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে এবং উচ্চ- প্রযুক্তির শিল্পজগতে স্বনির্ভরতা বাড়াচ্ছে।

আরও পড়ুন – বাংলার বস্ত্রশিল্পের গৌরব পুনরুদ্ধারে মসলিন তীর্থ, নদিয়ার জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

Related articles

অব্যবস্থা, বিজেপির উস্কানি! যুবভারতীর ঘটনার তীব্র নিন্দা তৃণমূলের, আয়োজককে তোপ কুণালের

মেসির অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন (Yuva Bharati)। শনিবার, মাত্র ১৯ মিনিট মাঠে ছিলেন বাঁ পায়ের...

শাহজাহান মামলার সাক্ষীকে গাড়ির ধাক্কা: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার পিছু নেওয়া বাইকার

তৎপরতার সঙ্গে শাহজাহান মামলার সাক্ষী ভোলা ঘোষের উপর হামলার ঘটনার অভিযোগে পিছু নেওয়া বাইকারকে (biker) গ্রেফতার করল ন্যাজাট...

টিকিট কেটেও দেখতে পেলেন না দর্শকরা, শুভশ্রী মেসি-সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করতেই কটাক্ষের বন্যা

দূরদূরান্ত থেকে এসে হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটেও ঈশ্বর দর্শন হল না। রাগে -ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দর্শকরা। আর...

উধাও মেসি ম্যাজিক, যুুবভারতীতে শুধুই ‘Mess’, রইল টাইম লাইন

স্বপ্ন ছিল মেসি(Messi) ম্যাজিকের। কিন্তু যে ম্যাজিক তো দূরের কথা। ফুটবলের রাজপুত্রকে একঝলক দেখাও গেল না ঠিক মতো।...
Exit mobile version