দূরদূরান্ত থেকে এসে হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটেও ঈশ্বর দর্শন হল না। রাগে -ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দর্শকরা। আর সেই আগুনে ঘি ঢালল টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের (Shubhashree Ganguly) স্যোশাল মিডিয়া পোস্ট, যেখানে দেখা গেল লিওনেল মেসির (Lionel Messi)পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ‘লেডি সুপারস্টার’। যেখানে সাধারণ মানুষ ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটেছেন কষ্টের উপার্জন দিয়ে, শনির শহরে ফুটবলের ঈশ্বরকে একবার দেখতে ছুটে এসেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অথচ তাঁদের চোখ সার্থক করার সামান্য সুযোগ না দিয়ে ‘হাইপ্রফাইল’ তকমা নিয়ে জনতার টাকায় ফুটেজ খাওয়ার অভিযোগ রাজ-পত্নীর বিরুদ্ধে।
দর্শকাসনে থাকা জনতা তখন মেসিকে দেখতে না পাওয়ার ক্ষোভে ফুটছে, তখন এলএম টেনের (LM10)পাশে হাসিমুখে ছবি তুলতে ব্যস্ত শুভশ্রী। এখানেই শেষ নয় মেসি, সুয়ারেজের মধ্যমণি ফটোশিকারিদের ক্যামেরায় হাসিমুখে পোজও দেন নায়িকা। এরপরই নেটভুবনের রোষানলে পড়েন ‘ইন্দুবালা’ অভিনেত্রী। স্যোশাল মিডিয়ায় কটাক্ষ আর কমেন্টের বন্যা। কেউ লেখেন,’এরা আম জনতার টাকায় ফুর্তি করছে’; তো কারোর কথায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে শুভশ্রী কেন ছবি পোস্ট করতে গেলেন? কেউ কেউ আবার নায়িকার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, ‘আপনি ফুটবল খেলা দেখেন বা বোঝেন?’ যদিও এর প্রেক্ষিতে টলিউড নায়িকা বা তাঁর টিমের তরফে কাউকে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।
এদিন শুরু থেকেই যুবভারতীর অনুষ্ঠানের সুর কাটতে থাকে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনীক ধর। তবে সাউন্ড সিস্টেম ঠিক না থাকায় দর্শকের কান পর্যন্ত গান পৌঁছয়ইনি বলে অভিযোগ উঠছে। এরপর রবীন্দ্রসঙ্গীত ও ট্যাঙ্গো মিউজিকের ফিউশন নৃত্য উপস্থাপিত হয়। তারপর প্রায় ঘণ্টাখানেকের জন্য অনুষ্ঠান বন্ধ থাকে। আয়োজকদের চূড়ান্ত অপদার্থতায় অনুষ্ঠানের সূচি পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানা যায়নি। অর্থাৎ মেসি ম্যাজিকের আশায় স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা শুরু থেকেই হতাশ হন। তবু আশা ছিল একটাই যে একঝলক হলেও কাঙ্খিত প্লেয়ারের দেখা মিলবে। কিন্তু না সেটাও হল না। অনেকে অভিযোগ করছেন যে মেসি নাকি দেরিতে স্টেডিয়ামে পৌঁছেছেন। কিন্তু আসল কথা হল বিশ্বকাপজয়ী তারকা উপস্থিত হয়েছিলেন সময়মতই, কিন্তু কিন্তু আয়োজক-সহ অন্যান্যদের ভিড়ে এবং ছবির বায়নাক্কায় কার্যত ঢাকা পড়ে যান মেসি।তিনি হাসি মুখে হাত নাড়ালেও অন্তত জনা পঞ্চাশ কালো কালো মাথার ভিড়ে কিংবদন্তিকে দেখতেই পাননি দর্শকরা।
–
–
–
–
–
–
–
–
