সময় শেষ, অথচ এনুমারেশন ফর্ম ফিল আপ করা হয়নি। পরিচিতরা ভয় দেখিয়েছিলেন এবার বোধহয় বাংলাদেশে চলে যেতে হবে। আতঙ্কে আত্মঘাতী হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ৫২ বছরের আবুল কালাম (Abul Kalam)। শনিবার ভোরে নিজের বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Maldah Medical College) পাঠানো হয়েছে।
বিজেপির কথায় অপরিকল্পিত ভাবে স্পেশ্যাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন চালু করেছে নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই একের পর এক মৃত্যুর খবর রাজ্যে। কখনও আতঙ্কে আত্মঘাতী সাধারণ মানুষ আবার কখনও কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন BLO। তবুও টনক নড়েনি কমিশনের। ক্রবার রাতেই মালদহে বরকত শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তথ্যগত ত্রুটির কারণে বরকত চিন্তায় ছিলেন। তার জেরেই মর্মান্তিক পরিণতি। এবার শনির ভোরে আরও এক মৃত্যুর খবর। মালদহের আবুলের ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড ছিল না। তাই এসআইআর ফর্ম পূরণ করতে পারেননি। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর বাবা-মায়ের নামও ছিল না। স্থানীয় সূত্রে খবর, অনেক বছর ধরে আবুল জয়পুরের এক হোটেলে কাজ করতেন। বছর খানেক ধরে বাড়িতেই ছিলেন। ডকুমেন্ট না থাকায় সময়মতো এনুমারেশন ফর্ম ফিল আপ করতে না পাড়ায় দেশ ছাড়া হওয়ার আতঙ্কে ভুগছিলেন। ডিটেনশন ক্যাম্পের ভয়েই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। তদন্তে মালদহ জেলা পুলিশ।
–
–
–
–
–
–
–
–
