Saturday, December 13, 2025

অব্যবস্থা, বিজেপির উস্কানি! যুবভারতীর ঘটনার তীব্র নিন্দা তৃণমূলের, আয়োজককে তোপ কুণালের

Date:

মেসির অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সাক্ষী থাকল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন (Yuva Bharati)। শনিবার, মাত্র ১৯ মিনিট মাঠে ছিলেন বাঁ পায়ের জাদুকর। কিন্তু গ্যালারি থেকে তাঁকে দেখা কার্যত যাচ্ছিল না। উদ্যোক্তার সাঙ্গপাঙ্গরাই খর্বকায় মেসিকে (Lionel Messi) ঘিরে রেখেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলপ্রেমীদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে স্বপ্নের মানুষকে দেখতে না পাওয়ার আপশোসই মুহূর্তে বদলে যায় ক্ষোভে। গ্যালারি থেকে বৃষ্টির মতো মাঠে পড়ে বোতল। বাকেট চেয়ার ভাঙতেও দ্বিধাবোধ করেননি মেসিভক্তরা। এরপর পুলিশের (Police) ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন শয়ে শয়ে মানুষ। কেউ কেউ গোলপোস্টের জালও ছিঁড়ে নেন। তার আগেই বেরিয়ে গিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। যুবভারতীর ঘটনার তীব্র নিন্দা করল তৃণমূল (TMC) এবং দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

ক্ষুব্ধ কুণাল জানিয়েছেন, “কেন মেসিকে ঘিরে থাকল হ্যাংলামির ভিড়? কেন স্টেডিয়াম পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগিয়ে রাখা হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? এতে কলকাতার সুনাম বাড়ল? অপদার্থ আয়োজক কেন ন্যূনতম পরিকল্পনার ছাপ রাখল না? শুধু টাকা? শুধু ব্যবসা? এই আয়োজক আর কিছু হ্যাংলার জন্য সবাই বঞ্চিত হল। কলকাতা লজ্জিত হল। দর্শকদের ক্ষোভ ন্যায্য।
পুনশ্চ: 2011 সালে এই যুবভারতীতেই খেলেছিলেন মেসি। আমি আর সহকর্মী প্রসেনজিৎ বক্সি কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে খেলা দেখেছিলাম। বারো ফুটের মধ্যে এসে কর্নার নিলেন মেসি। সবটা হয়েছিল পরিকল্পিতভাবে। কোনো বাড়াবাড়ি সেদিন হয়নি।”

যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) অবস্থান
* আয়োজকদের তরফে সম্পূর্ণ অব্যবস্থাছিল। এটি বেসরকারি সংস্থা। রাজ্য সরকারের এর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।
* সরকারের পক্ষ থেকে ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
* এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।
* স্বাভাবিকভাবেই, রাজ্য সরকার অনুষ্ঠানটির জন্য অনুমতি দেবে। যদি তারা অনুমতি না দেয়, তাহলে সেই বাংলা-বিরোধীরাই সরকারের ওপর দোষ চাপাবে।
* মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে তাঁর বিবৃতিটি পোস্ট করেছেন।
* এটি একটি ফিফা-স্বীকৃত স্টেডিয়াম। আজ পর্যন্ত এখানে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এবং কোনো সমস্যাই হয়নি।
* তবে, আজ আমরা দেখলাম বিজেপি-সমর্থিত গুন্ডারা মাঠে এসে উস্কানি দেওয়ার এবং অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে, তাদের হাতে গেরুয়া পতাকা ছিল এবং তারা স্লোগান দিচ্ছিল।
* বাংলা-বিরোধী বিজেপি বাংলাকে বদনাম করার জন্য যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারে।
* পুলিশের উচিত তদন্ত করে এই ধরনের সমাজবিরোধীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা।
* নবান্ন অভিযান হোক বা অন্য কোনো ঘটনা—বিজেপির কুখ্যাত অপরাধীরা রাজ্যে সব সময়ই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছে।

Related articles

কথায়-কাজে বিস্তর ফারাক, পরিকল্পনাহীন অনুষ্ঠানে ‘ফ্লপ’ শতদ্রু

কথা রাখলেন না শতদ্রু দত্ত( Satadru dutta), অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের। পেলে-মারাদোনা-মার্টিনেজের পর কলকাতায় নিয়ে এলেন মেসিকেও।...

উত্তাল সল্টলেক, শ্রীভূমিতে মেসি-মূর্তি উন্মোচনের সুষ্ঠু আয়োজন সুজিতের

শনির কলকাতায় দুই বিপরীত দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন মেসি অনুরাগীরা। একদিকে যখন বিশ্বকাপজয়ী তারকার উপস্থিতিতে বেসরকারী আয়োজক সংস্থার অপদার্থতায়...

“জয় শ্রীরাম” ধ্বনি, গেরুয়া পতাকা: যুবভারতীয় বিশৃঙ্খলার পিছনে কারা? উঠছে প্রশ্ন

জয়িতা মৌলিক ভারতের ফুটবলের মক্কায় এসেছিলেন বিশ্ব ফুটবলের (Football) রাজপুত্র। তাঁকে দেখতে ফুটবল প্রেমী বাঙালি উপচে পড়েছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে...

প্রীতি ম্যাচে পন্ড ফুটবল, মেসির সঙ্গে ছবি তুলেই আনন্দে আত্মহারা প্রাক্তনীরা

ফুটবলের রাজপুত্র এলেন ভারতীয় ফুটবলের মক্কায়। কিন্তু তাঁর পায়ের যাদু দেখা থেকেই বঞ্চিতই থাকল যুবভারতী, মেসিও (Messi) দেখতে...
Exit mobile version