স্বপ্ন ছিল মেসি(Messi) ম্যাজিকের। কিন্তু যে ম্যাজিক তো দূরের কথা। ফুটবলের রাজপুত্রকে একঝলক দেখাও গেল না ঠিক মতো। সকাল থেকে দুপুর শুধুই চূড়ান্ত অব্যবস্থা আর স্বপ্নভঙ্গের হতাশা । ফুটবলের মক্কায় লাগল কলঙ্কের কালি। শনিবার সকাল থেকে দুপুর ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
সকাল ৮টা- যুবভারতীর প্রবেশ দ্বার দর্শকদের জন্য খোলা হল। দর্শকরা প্রবেশ করতে শুরু করেন। যুবভারতীর বাইরে সমর্থকদের মিছিল।
সকাল ১০টা- মাঠ পুরোপুরি তৈরি হয় গোট কনসার্টের জন্য।
সকাল ১০.১০- গোট কনসার্টের সূচনা। অনীক ধর বন্দেমাতরমের সুরে শুরু হল অনুষ্ঠান। এরপর আরও একটি গান করেন অনীক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা শুরু করেন রূপসা ও অনিন্দ।
১০.২০ মিনিট- মোহনবাগান ও ডায়মন্ডহারবার দল ওয়ার্ম আপ শুরু করে।
১০.৩০ মিনিট- শুরু সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। রবীন্দ্র নৃত্যের সঙ্গে ট্যাঙ্গো ড্যান্সের মেলবন্ধন।
১১.১০ মিনিট- মোহনবাগান ও ডায়মন্ডহারবার দলের প্রীতি ম্যাচ শুরু হল। দুই দলে খেললেন ১৪ জন করে ফুটবলার। দুই দলেই প্রাক্তন ফুটবলাররা খেললেন। খেলা শেষ হল গোলশূন্য ভাবেই।
১১.৩০ মিনিট- মাঠে প্রবেশ করলেন মেসি(Messi)।সঙ্গে সুয়ারেজ, ডি পল। মাঠে প্রবেশ করেই দুই দলের ফুটবলারদের সঙ্গে করমর্দন করলেন। মেসি মাঠে ঢোকার পর থেকেই শুরু হুড়োহু়ড়ি, সামনে গিয়ে ছবি তোলার হিরিক।
১১.৪০- মাঠে একটু প্রদক্ষিণ করলেনস দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়লেন। মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসু মেসির হাতে তুলে দিলেন সবুজ মেরুন জার্সি।
১১.৫০- সবাইকে অবাক করে মেসিকে নিয়ে মাঠ ছাড়লেন উদ্যোক্তারা।
১২.০০- মেসি মাঠ ছাড়ারল পরেই শুরু গ্যালারিতে দর্শকদের বিক্ষোভ। সময় যত এগোলো ততই বিক্ষোভ পাল্লা দিয়ে বাড়ল। চেয়ার ভাঙা, গোল পোস্টের জাল ছেড়া থেকে শুরু করে শামিয়ানাতে অগ্নিসংযোগ কিছুই বাদ গেল না। পুলিশ ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করল।
২.৩০- স্টেডিয়াম খালি করল পুলিশ।
দুপুর ২.৫০- মেসি সফরের আয়োজক শতদ্রু দত্তকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ও এই ঘটনায় যাদের গাফিলতি তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে এফআইআর প্রক্রিয়া ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। জানালেন ডিজি রাজীব কুমার ও এডিজি ল অ্যান্ড অর্ডার জাভেদ সামিম।
দুপুর ২.৫৫- গ্রেফতার শতদ্রু দত্ত। বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হল মূল উদ্যোক্তাকে।
