চলতি মাসেই বাংলাদেশে ফিরছেন খালেদা-পুত্র তারেক রহমান। বড়দিনে ২৫ ডিসেম্বর তাঁর দেশে ফেরার ঘোষণা করা হল বিএনপি-র (BNP) তরফে। দেশে ফেরার সংকেত দিয়েছেন তারেক রহমান (Tarek Rahman) নিজেও। মূলত প্রাক্তন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে যাওয়ায় বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার তোড়জোড়।
শুক্রবার রাতে বিএনপি (BNP) মহাসচিব মির্জা ফকরুল আলমগির ঘোষণা করেন ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে (Bangladesh) ফিরছেন তারেক (Tarek Rahman)। দল তাঁকে স্বাগত জানাবে। সেই সঙ্গে দেশে ফিরে তারেক যে শুধুই মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য ব্যস্ত হবেন তা নয়। মহাসচিবের কথায় স্পষ্ট, দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিকে নতুন রূপ দিতে তারেকের বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। চলছে মনোনয়ন পেশের প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার হাসপাতালে থাকায় বিএনপি-তে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতে তারেক যে উদ্যোগী হবেন বলাই বাহুল্য। তারেক যে শুধু নিজের ইচ্ছায় দেশে ফিরছেন না, তা তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে স্পষ্ট। তিনি জানান, মায়ের এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে দেশে ফিরতে তিনি উদগ্রীব ছিলেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ‘অবারিত’ ও ‘একক নিয়ন্ত্রনাধীন নয়’। অর্থাৎ দলের সম্মতি পেয়েই তিনি দেশে ফিরছেন।
আরও পড়ুন : ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচন: আওয়ামি লীগকে ছাড়াই পড়শি দেশে ভোট!
২০১১ সাল থেকে আওয়ামি লীগ জমানায় একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে দেশছাড়া ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বিদেশ থেকেই দল পরিচালনা করছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পরে ধীরে ধীরে তারেকের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ থেকে খালাস করা হয় তারেককে। এরপরই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তার দেশে ফেরার। মায়ের অসুস্থতার কারণে সেই দেশে ফেরা চলতি বড়দিনেই।
–
–
–
–
–
