বিহারের সরকারি অনুষ্ঠানে মহিলা চিকিত্সকের মুখ থেকে হিজাব টেনে নামিয়ে দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে রাজনৈতিক মহল থেকে বিনোদন জগত। এবার বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মহিলা ডাক্তার নুসরত পারভিন (Dr Nusrat Parveen)। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি এতটাই ট্রমাতে চলে গেছেন যে এই মুহূর্তে সরকারি চাকরিতে যোগদান করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর ভাই বলেন, “আমি ও পরিবারের লোকেরা অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আমরা বলেছি যে,দোষ অন্য একজনের, তাহলে তার সাজা সে কেন ভোগ করবে? কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলানো যায়নি।”
৭৪ বছর বয়সী জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমার আরও একবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু এ কেমন আচরণ? সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চে হিজাব পরিহিত মহিলা চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এলে নীতীশ টান মেরে মহিলার মুখ থেকে হিজাব নামিয়ে দেন। এরপরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর আচরণের নিন্দায় সরব হয় সব মহল। যাঁর সঙ্গে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেই চিকিৎসক নুসরত পারভিন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ওই চাকরিতে যোগ দেওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় তিনি নেই। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে ওই কাজ করেননি, কিন্তু ওই মুহূর্তে যেটা ঘটেছে এবং তাতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা বাকিরা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সেটা যথেষ্ট অপমানজনক। নুসরত জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট, বাজারহাট সর্বত্র তিনি হিজাব পরে অভ্যস্ত। কখনও তাঁর সঙ্গে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি তাই গোটা ব্যাপারটাই যথেষ্ট অসম্মানের এবং তা অস্বস্তিকরও বটে। এই মুহূর্তে যা মানসিক অবস্থা তাতে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। মহিলা চিকিৎসকের এহেন সিদ্ধান্তের জেরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী চাপে পড়তে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

–

–

–

–

–

–

–

–


