স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) বারবার বলা সত্ত্বেও রাখা হচ্ছে না প্রেসক্রিপশনের সচ্ছতা। এবার অনিয়ম রুখতে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। নতুন অ্যাপ তৈরি করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সরকারি কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে প্রেসক্রিপশনে হাতের লেখা থেকে ওষুধ নির্বাচনের অসঙ্গতি বারবার সামনে এসেছে। কিন্তু তা যথাযথভাবে পালন হচ্ছে না, এবার সব কিছু নজরে রাখতে চালু করা হচ্ছে বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে অডিট ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য দফতর ছ’মাস ধরে বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জানিয়েছে- চিকিৎসকদের অস্পষ্ট ও প্যাঁচানো হাতের লেখা, বেড হেড টিকিট ও ওপিডি প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক নামের বদলে ব্র্যান্ডনেম লেখা, প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস না দেওয়া, চিকিৎসকের সম্পূর্ণ পরিচয় (সই, নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, তারিখ ও সময়) উল্লেখ না করা, পাশাপাশি রোগীর গুরুত্বপূর্ণ ক্লিনিক্যাল তথ্য ও ভাইটালস না লেখা, ওষুধের সঠিক ডোজ, ব্যবহারের সময় ও নিয়ম ঠিক করে না জানানোর মত করা অভিযোগ উঠেছে।

স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, এই প্রবণতা রোগীর সুরক্ষা, চিকিৎসার কার্যকারিতা এবং যুক্তিসংগত ওষুধ ব্যবহারের নীতির পরিপন্থী। তাই দ্রুত সংশোধনের প্রয়োজন। এই নতুন অ্যাপে প্রাইমারি, সেকেন্ডারি ও টার্শিয়ারি কেয়ারের হাসপাতালগুলি থেকে আলাদা আলাদা ভাবে তথ্য আপলোড করা যাবে। আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বৈঠকেও কাটল না চিংড়িঘাটার মেট্রো জট

নির্দেশিকা কার্যকর করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতাল সুপার, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং মেডিক্যাল কলেজের মেডিক্যাল সুপার ও অধ্যক্ষদের উপর। মেডিক্যাল কলেজ থেকে জেলা, মহকুমা, গ্রামীণ ও সুপার-স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, এমনকি প্রাথমিক ও ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্তরের সমস্ত চিকিৎসকের কাছে এই নির্দেশিকা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নিয়মিত অভ্যন্তরীণ প্রেসক্রিপশন অডিট জোরদার করার কথাও বলা হয়েছে।

–

–

–

–

–

–


