বাচ্চাদের মুখে মুখে চন্দ্রযান-২, এটাই সাফল্য! আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের সূচনায় বললেন মোদি

পঞ্চম আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের শুভ সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন রাজারহাটের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উৎসবের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধন। এছাড়াও ছিলেন প্রতিবেশী ভূটান, আফগানিস্তান, মায়ানমার থেকে আসা সে দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা।

এদিন প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণের শুরুটাই করেন বাংলা দিয়ে। তিনি বলেন, “আমি দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে সরাসরি মিলিত হচ্ছি, এটাও বিজ্ঞানের কল্যাণে। আমি দিল্লিতে থাকলেও আপনাদের বিজ্ঞান উৎসব নিয়ে উদ্দীপনা অনুভব করতে পারছি।”

প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, বাংলার মাটি পবিত্র মাটি। এখানে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান উৎসব আগামী দিনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে বিজ্ঞানের প্রতি মনোযোগী করে তুলতে। জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, মেঘনাথ সাহাদের বিজ্ঞানের প্রতি অবদান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই বাংলার মাটি থেকে একের পর এক বিজ্ঞানী উঠে এসেছেন, বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, দেশকে গর্বিত করেছেন।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের অতীত এবং বর্তমান বিজ্ঞানীদের নিয়ে গর্ব করার মতো। এমন একটা সময়ে বিজ্ঞান উৎসব হচ্ছে, যখন এই মাসেই জন্মেছিলেন সি ভি রমন এবং জগদীশচন্দ্র বসু।

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও দেশ বা জাতি বিজ্ঞান ছাড়া এগোতে পারে না। স্বাধীনতার ৭০ বছরেও ভারতবর্ষ সম্পূর্ণরূপে কুসংস্কার মুক্ত হতে পারেনি। বিজ্ঞান চেতনা এবং বিজ্ঞানের অগ্রগতি কুসংস্কারকে দূর করে। সমাজকে উন্নত করে। তাই অনেক ছোট বয়স থেকেই ছেলেমেয়েদের বিজ্ঞান চর্চা শুরু করতে হবে। যাতে কলেজ পাস করার পর, তারা বিজ্ঞান নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। বিজ্ঞানের মাধ্যমে মানব কল্যাণ নিয়ে বিজ্ঞানীদের চিন্তাভাবনা করার অনুরোধও করেন প্রধানমন্ত্রী।

তাঁর ভাষণে চন্দ্রযান-২ প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আপাতদৃষ্টিতে চন্দ্রযান-২ সফল না হলেও আমরা কিন্তু সঠিক পথেই এগিয়েছি। আমি দেশের ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে চন্দ্রযান-২ নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করতে দেখেছি। যেটা দেখে তাঁদের অভিভাবকরাই অবাক। এটাই চন্দ্রযান-২ এর বিজ্ঞানীদের সাফল্য।”

মোদি মনে করেন, বিজ্ঞান চর্চায় ব্যর্থতা বলে কিছু হয় না। আর বিজ্ঞানে সাফল্য একদিনে আসে না। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সাফল্য আসে বিজ্ঞানে। যার দীর্ঘকালীন উপযোগিতা পায় মানবজাতি।

রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় প্রধানমন্ত্রী মোদির বিজ্ঞান নিয়ে প্রয়াস এবং বক্তব্যকে অভিনন্দন জানান। দেশে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী সর্বদাই সচেষ্ট বলে মনে করেন তিনি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষবর্ধনও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সুরেই কথা বলেন। তিনি বলেন, “বাংলার পবিত্র মাটি থেকে এগিয়ে চলুক বিজ্ঞানের অগ্রগতি। এই বাংলা দেশকে একের পর এক বিজ্ঞানী দিয়ে গিয়েছে। আগামীতেও দেবে।”

আরও পড়ুন-ভূটানে ছুটি কাটাচ্ছেন বিরুষ্কা, ছবি ভাইরাল

 

Previous articleভূটানে ছুটি কাটাচ্ছেন বিরুষ্কা, ছবি ভাইরাল
Next articleপিঙ্ক টেস্টে কমেন্ট্রি বক্সে ধোনি!