পৌষমাসে বিশ্বকর্মাপুজো! কিন্তু কেন?

পৌষমাসে অকাল বিশ্বকর্মাপুজো। এটাই প্রতিবছর হয় হুগলির বেগমপুরে। দুর্গাপুজোর 90 দিন পরে, পৌষমাসের শুক্লা পক্ষের নবমী তিথি অনুযায়ী শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তন্তুবায় সম্প্রদায়ের বিশ্বকর্মাপুজো। সকাল থেকে প্রতিটি তাঁতঘরে চলছে তাঁতের পুজো। এই পুজোর পর থেকে শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজোর জন্য শাড়ি বুননের কাজ। ভাদ্রমাসে বিশ্বকর্মা পুজোর সময় গ্রামে তাঁতঘরগুলোতে ব্যস্ততার জন্য সেই সময় বিশ্বকর্মাপুজো করা যায় না। তাই এই অকাল বিশ্বকর্মাপুজোতে মেতে ওঠে আট থেকে আশি। তবে এই বিশ্বকর্মার বাহন হিসেবে হাতির বদলে ঘোড়া থাকে। কারণ, ঘোড়ার খুরের শব্দের সাথে তাঁতের মাকুর শব্দের সঙ্গে মিল থাকার কারণে হাতির বদলে বিশ্বকর্মার বাহন ঘোড়া করা হয়।
প্রতি বছরের মত এবারও অকাল বিশ্বকর্মাপুজোয় মেতেছে হুগলির বেগমপুর, ছোটো তাজপুর, দক্ষিণ খরসরাই ও মনিরামপুর গ্রামের বাসিন্দারা। চারদিন চলবে এই পুজো। বসেছে মেলাও। পুজো উপলক্ষে এদিন সরস্বতী নদীর ধারে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এবছর মোট 29 টি পুজো হচ্ছে এলাকায়। প্রতিমা, মণ্ডপ সজ্জা, আলোর রেশনাই একে অপরকে টেক্কা দিলেও প্রদীপের নীচের অন্ধকার গ্রাস করেছে তাঁতশিল্পীদের। আগে বেগমপুর এলাকায় 5 হাজার তাঁত শিল্পী এই পেশায় যুক্ত ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে রোজগার কমে যাওয়ার কারণে নতুন প্রজন্ম এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। এখন 700 জন তাঁত শিল্পী কোনোক্রমে এই পেশায় যুক্ত রয়েছে। নতুন প্রজন্ম এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে চারদিন আনন্দ উৎসবে মেতে থাকে।

Previous articleপানশালায় গিয়ে লোক পিটিয়ে ফের খবরে অনুপম হাজরা
Next articleসোলেমানির শেষযাত্রায় ভেঙে পড়ল মানুষ