Sunday, August 24, 2025

যে গ্রামে সকলের মাতৃভাষা সংস্কৃত

Date:

Share post:

এই গ্রামের প্রত্যেকেই কথা বলেন দেব ভাষায়। শাশুড়ি- বৌমা ঝগড়া, বাসে টিকিট কাটা, কিংবা মুদি দোকানে পাঁচফোড়ন কেনা, সবই চলে সংস্কৃতে। গ্রামের নাম মাত্তুর। কর্ণাটকের সিমোগা জেলায় এই গ্রাম। একদা দ্রাবিড় অধ্যুষিত এই গ্রামে এখনও কথ্য ভাষা সংস্কৃত। শিশুরা জন্ম থেকেই মাতৃভাষা হিসেবে সংস্কৃত শেখে। স্কুলে পাঠ শুরু হয় বৈদিক স্তোত্র পাঠের মধ্য দিয়ে । এখানে সব স্কুলেই সংস্কৃত প্রথম ভাষা । দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে থাকে ইংরেজি বা কন্নড়। মাত্তুরের সংলগ্ন হোসাহাল্লি গ্রামের বৈশিষ্ট্য মাত্তুরের সঙ্গে প্রায় একধরনের। হোসাহাল্লি গ্রামটি টুংগা নদীর অন্য পারে অবস্থিত। এই দুইটি গ্রামকে প্রায়ই একসঙ্গে বোঝানো হয়। মাত্তুর এবং হোসাহাল্লি গ্রামদুটি গামাকা বা গল্প বলার শিল্প বাঁচিয়ে রাখার জন্য খ্যাত। তার মানে এই নয় এই গ্রামের সকলেই সংস্কৃত ভাষা নির্ভর পেশার সঙ্গে যুক্ত। আধুনিক প্রযুক্তি আর দেবনাগরী ভাষা, সব মিলে মিশে দিব্যি চলছে মাত্তুর।

আরও পড়ুন-ভোগ বিতরণ ও অঞ্জলিতে নিষেধাজ্ঞা কোচবিহারের মদনমোহন বাড়িতে

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...