Monday, August 25, 2025

রাজ্যে এখনই মোবাইল কোর্ট বা ভিডিও কনফারেন্সে জামিনের ব্যবস্থার দাবি

Date:

Share post:

করোনা পরিস্থিতিতে জেলবন্দিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আদালতে এখনই কেন মোবাইল কোর্ট বা ভিডিও কনফারেন্স করে দ্রুত জামিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। একইসঙ্গে রাজ্য বার কাউন্সিলের কর্মবিরতির ডাককে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ চিহ্নিত করেছেন তিনি৷ দমদম জেলের ঘটনার পরও আইনজীবীদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া ‘অবিবেচক কাজ’ বলে মনে করছেন বিকাশবাবু-সহ অসংখ্য আইনজীবী৷ তাঁদের বক্তব্য, “রাজ্য সরকার লকডাউন সত্ত্বেও বিচার ব্যবস্থাকে জরুরি পরিষেবার মধ্যে রেখেছে। তার পরেও আইনজীবীদের এই আচরণ মানুষের কাছে ভুল বার্তাই দেবে।”

পাশাপাশি, বিকাশবাবু বলেছেন, “হাইকোর্ট মনে করলে বিচারকরা মোবাইল বা ভিডিও কনফারেন্সে পুলিশের থেকে নথি দেখে জামিনের মামলা শুনতেই পারেন। এই প্রক্রিয়ায় সংক্রমণের আশঙ্কাও কম”৷ এখনই রাজ্যে এই পদ্ধতি চালু করা দরকার৷” অন্যান্য একাধিক আইনজীবীর বক্তব্যও একই৷ তাদের বক্তব্য, “কোর্ট চাইলে পুলিশের নথি দেখেই জামিন দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে সদিচ্ছাই বড় কথা।’
এদিকে, হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সোমবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে বার কাউন্সিলের কর্মবিরতির ডাক উল্লেখ করে কোনও মামলায় দু’পক্ষের বক্তব্য না শুনে রায় না দেওয়ারও অনুরোধ করেছেন।

spot_img

Related articles

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে সমকামী সম্পর্ক-ব্ল্যাকমেইল! তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার সালকিয়ার অরবিন্দ রোডের বাসিন্দা অসীম দে (Asim de) খুন...