চমক দেখাচ্ছে দিদিকে বলো! হাতে গরম প্রমাণ পেলেন “এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ”-এর সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ নিজেই। কী হয়েছিল? শুনুন…

এক আধ ঘন্টা নয়, টানা প্রায় ২০ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন আসানসোলের বিস্তৃর্ণ একটি এলাকা। রবিবারের ঝড়-বৃষ্টি এর কারণ। “এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ”-এর সম্পাদক অভিজিৎ ঘোষ লকডাউনে আটকে আসানসোলে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম। তিনিও এই টানা লোডশেডিংয়ে বিরক্ত হয়ে বারবার ইলেকট্রিক সাপ্লাইকে ফোন করেন। কিন্তু কেউ ফোন তোলারই প্রয়োজন বোধ করেননি। অগত্যা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে অনুরোধ করেছিলেন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। তাঁর আবার স্পষ্ট কথা, ওটা আমার বিষয় নয়। যদি আপনি ফোনে ইলেকট্রিক সাপ্লাইকে না পান, তাহলে ফোনে চেষ্টা চালিয়ে যান। যখন ধরবে তখন বলবেন। শুধু তাই নয়, তাঁর অকপট বয়ান, আমার কিছুই করণীয় নেই। বিরক্ত সম্পাদক শেষে এই প্রথম ফোন করে বসেন “দিদিকে বলো” নম্বরে। ফোন তুললেন এক তরুণী। নাম, ওয়ার্ড, থানা, কাউন্সিলর, বিধায়কের নাম জানতে চাওয়ার পর পুরো ঘটনা জানতে চান। বলার পর জানানো হয়, বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ফোন করা হবে। ফোন শেষ হওয়ার ঘন্টা খানেকের মধ্যে চলতে শুরু করল পাখা। না, দ্বিতীয়বার ফোন করার প্রয়োজন পড়েনি! যে লোডশেডিংয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাত একটা থেকে ফোন করেও কোনও লাভ হয়নি, শুধু একটি ফোনে তার সমাধান, এবং তা দ্রুত গতিতে! ভাবা যায় না! চমকে যান সম্পাদক।

“দিদিকে বলো”র সাফল্যের খতিয়ানের কারণ নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছেন ” এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ”-এর সম্পাদক। তিনি বলছেন, মেয়র সহ আসানসোলের জনপ্রতিনিধিরা যদি এভাবে একটু তৎপর হতেন তাহলে অনেক যন্ত্রণা থেকেই আগাম মুক্তি পেতেন নাগরিকরা।
