মোহনবাগান দিবস উপলক্ষ্যে সম্মানগুলির প্রাপকদের নাম ঘোষণা করে ক্লাবসচিব সৃঞ্জয় বোস বুঝিয়ে দিলেন, মোহনবাগান মানে শুধুই ফুটবল নয়।
এটিকের সঙ্গে হাত মেলানোটা যেমন মোহনবাগানের জন্যে জরুরি ছিল, উল্টোদিকে কিছু ট্রোল চলছিল ক্লাবের নিজস্বতা নিয়ে খোঁচা দিয়ে। কর্তারা বারবার বলেছেন ফুটবলের বাস্তবতা মেনে এই চুক্তি। তার সঙ্গে বাকি অংশের সম্পর্ক নেই।
এবার সম্মানগুলি ঘোষণা করে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন সৃঞ্জয়রা।
মোহনবাগানরত্ন যুগ্মভাবে গুরুবক্স সিং ( হকি) ও পলাশ নন্দী ( ক্রিকেট)।
জীবনকৃতী সম্মান তিনজনকে: ধ্যানচাঁদের ছেলে অশোককুমার ( হকি), মনোরঞ্জন পোড়েল ( অ্যাথলেটিক্স) ও প্রণব গঙ্গোপাধ্যায় ( ফুটবল)।
ময়দানের বিশ্লেষণ, এভাবে অন্য খেলায় সম্মান দেওয়া মোহনবাগানের নতুন নয়। কিন্তু এবার বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মোহনবাগান মানেই যে গোটাটা এটিকে বা গোয়েঙ্কাদের হাতে চলে গিয়েছে, এটা ভুল। শুধু ফুটবল খেলার অংশটি গিয়েছে যৌথ হাতে। আগেও ম্যাকডোয়েল ছিল। ইস্টবেঙ্গলে কিংফিশার বা কোয়েস ছিল। কোয়েস তো ফুটবলের সঙ্গে ক্রিকেটও রেখেছে তাদের অধিকারে। মোহনবাগান ফুটবলের বাইরে কিছু দেয়নি।
এই সম্মানতালিকা এটাও স্পষ্ট করছে যে ফুটবল খেলার টাকার চাহিদা মেটানোর স্বার্থে নতুন কোম্পানি বা এটিকেএমবি কাজ করবে। কিন্তু ক্লাব প্রশাসন বা বাকি খেলার অংশ আগের মতই ক্লাবের হাতে থাকছে।
ময়দানবিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময়ে এই বার্তাটি দিয়ে জরুরি কাজ সারলো মোহনবাগান। তাদের হকি, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্সের উজ্জ্বল ইতিহাসটা মনে করিয়ে দিল। একসময় টেনিসও হত মোহনবাগানে। তবে এখন সম্মানের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো নাম পাওয়া যায়নি।
সৃঞ্জয় বোস, দেবাশিস দত্তরা মোহনবাগানের বিশালতা অক্ষুণ্ণ রাখার বার্তা হিসেবে এই যোগ্য তারকাদের সম্মান দিয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।