মাধ্যমিকের ৬৩০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় মিলল মাত্র ১৪। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পরীক্ষার্থী। অথচ টেস্ট-এ জয়নগর জেএম ট্রেনিং স্কুলের ছাত্র শিবম হালদার পেয়েছিল৭০ % নম্বর।

৭০০ নম্বরের পরীক্ষায় শিবম পেয়েছে ৮৪ নম্বর। তার মধ্যে ৭০ নম্বরই পেয়েছে স্কুলের ‘ইন্টারন্যাল ফরমেটিভ ইভলিউশন’-এ। বাকি ৬৩০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা থেকে এসেছে মাত্র ১৪ নম্বর। অঙ্ক, ইংরেজি-সহ পাঁচটি বিষয়ে ৯০-এর মধ্যে ১ করে পেয়েছে সে। বাংলায় পেয়েছে ৯। জীবনবিজ্ঞানে লিখিত পরীক্ষায় ৯০ এর মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর শূন্য।

স্কুলে বরাবর ভালো ফল করেছে শিবম। স্কুল জানিয়েছে চলতি বছর ১৯৩ জন মাধ্যমিক দিয়েছিল। একমাত্র ওই ছাত্রী অকৃতকার্য হয়েছে। শিবমের এই রেজাল্ট মানতে পারছেন না তার স্কুলের শিক্ষকরা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সতীপ্রসাদ ত্রিপাঠী বলেন, “লেখাপড়ায় ভালোই শিবম। কিন্তু কীভাবে এই নম্বর পেল বুঝতে পারছি না।” এই বিষয়ে খাতা রিভিউ করার পরামর্শ দিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ” ওই ছাত্র রিভিউয়ের আবেদন করুক। তাহলে সবটা বোঝা যাবে।”

ওই ছাত্রের মামা রাজকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, “ওয়েবসাইটে ওর নম্বর দেখে অবাক হয়ে যাই আমরা। মার্কশিট পাওয়ার পরও দেখি মাত্র ৮৪ পেয়েছে শিবম। আমরা পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করব। প্রয়োজনীয় তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চাইব কেন এমন হলো।”
