ভিক্ষা করে খাওয়া ভিখারির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! তার আবার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স! শুনেই অবাক হচ্ছেন? এবার যদি শোনেন তাঁর ব্যাঙ্কে জমা অর্থের অঙ্ক তাহলে কিন্তু ভিড়মি খেতে পারেন আপনিও। লেবাননের এক বৃদ্ধা ভিখারি লোকের কাছে হাত পেতে এত টাকাই জমিয়েছেন, যে তাঁর টাকা তোলার অঙ্কের পরিমাণ দেখে আঁতকে উঠেছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা।টাকার অঙ্ক ছিল ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।

রাস্তায় যখন ছেঁড়া কাপড় পড়ে, মলিন চেহারার কোনও বাচ্চা বা বয়স্ক আপনার সামনে হাত পাতে, তখন কি বুকের মধ্যেটা কেমন করে ওঠে? মনে হয়, আহারে, হয়তো সত্যি দু’দিন পেটে কিছু পড়েনি। নিজের ছেলের কেক, পেস্ট্রি, চিপসের বায়নাক্কা সামলে প্ল্যাটফর্মে ছেলের বয়সই বাচ্চাকে হাত পাততে দেখলে মনটা ভারী হয়ে যায় বই কি! কেউ ২ টাকা, কেউ পাঁচ টাকা যে, যা পারেন দিয়ে দেন।আপনি কিন্তু বুঝতেও পারেননা সারা দিন রাত পরিশ্রম করে যে টাকা আপনি রোজগার করছেন বা জমাচ্ছেন তার চেয়ে বেশ ওদের কারও আছে।

আরও খবর : বাংলাদেশের স্কুলে প্রাথমিকে ‘অটো’ পাশ !

লেবাননের বৃদ্ধা ওয়াফা মহম্মদ আওয়াদ দশ বছরের বেশি সময় ধরে সিডন শহরে ভিক্ষা করেছেন। সেখানকার একটি হাসপাতালের গেটের সামনে রোজ ভিক্ষা করতেন তিনি। হাসপাতালের এক নার্সই সে কথা জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ভিক্ষার টাকা জমিয়ে তিনি ব্যাঙ্কে রাখতেন। তারপর একদিন ঠিক করেন সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করবেন অন্য ব্যাঙ্ক। তখনই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে। একজন ভিখারির অ্যাকাউন্টে ৬ কোটির ওপর টাকা। ব্যাঙ্ককর্মীরা হতবাক হয়ে যান। তাঁরা জানান, তাঁদের পক্ষে একদিনে তা করা সম্ভবই নয়।


প্রশ্ন উঠেছে, যাঁদের কিছু নেই বলে হাত পাতেন, তাঁরা তাহলে এত টাকা জমাতে পারেন? ১০ বছরে টাকার অঙ্ক ৬ কোটি মানে ভিখারির দৈনন্দিন আয় কত ছিল? তাহলে তো বলা চলে, একজন কর্পোরেট সেক্টরের মোটা বেতনের কর্মীর চেয়েও ভিক্ষায় আয় বেশি। বিষয়টা যদি এমনই হয়, বসে থেকে হাত পাতলেই আলিবাবার চল্লিশ চোর গল্পের মতো চিচিং ফাঁক হয়, তাহলে কষ্ট করে কাজ আর কে করবেন?

বৃদ্ধার অবর্তমানে তাঁর সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা হবে কী করে বা উত্তরাধিকারী কে হবেন তাও অবশ্য জানা নেই।
