অনেক আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে মুক্তি। এক বছরের বেশি সময়ের পর গতকাল মঙ্গলবার বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। তবে বন্দিদশা কাটলেও মেহবুবা মুফতি কোনও রাজনৈতিক সভায় যোগ দেওয়ার অনুমতি এখনও মেলেনি প্রশাসন বা আদালতের তরফে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের জন্য ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে মেহবুবা মুফতিকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। জম্মু-কাশ্মীর পাবলিক সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী যে কোনও মানুষকে বিনাবিচারে দু’বছর পর্যন্ত বন্দি রাখতে পারে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই মেহবুবা মুফতিকে মুক্তি দেওয়া হলো। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করা হয়। তারপর তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়।


গত ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার তকমা প্রত্যাহারের ঠিক আগে আটক করা হয়েছিল ভূস্বর্গের রাজনৈতির নেতা-নেত্রীদের। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন মেহবুবা মুফতিও। তাঁর কন্যা ইলতিজা মুফতি শীর্ষ আদালতে যে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাতে রিট পিটিশনে সংশোধন চাওয়া হয়েছিল। রিট পিটিশনে বিভিন্ন গ্রাউন্ডে মুফতির ডিটেনশনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি ”বেআইনিভাবে মুফতিকে আটক করে রাখার জন্য” ক্ষতিপূরণ এবং মামলার খরচও দাবি করা হয় পিটিশনে।

After being released from fourteen long months of illegal detention, a small message for my people. pic.twitter.com/gIfrf82Thw
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) October 13, 2020
মেহেবুবা মুফতির মুক্তির খবরে খুশি তাঁর রাজনৈতিক অনুগামীরা। অন্যদিকে, বন্দিদশা কাটার পর মেহবুবা মুফতি টুইট করে বলেন, “১৪ মাসের বেআইনি বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আমার নিজের মানুষগুলির কাছে ছোট্ট বার্তা।
এই গোটা এক বছর ধরে ৫ আগস্টের কালোদিনের স্মৃতিটা আমার অন্তর আত্মাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কাছ থেকে যা ছিনিয়ে নিয়েছে, তা আমরা ফের উদ্ধার করব। জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতারা ও সাধারণ মানুষে কেন্দ্রের এই অপমান ও বঞ্চনা কোনওদিন ভুলবে না। ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে এই মানুষগুলোর যে ক্ষতিটা সরকার করেছে, তা চিরকাল মনে থাকবে। জানি সহজ নয়, কিন্তু সাহস ও লড়াইয়ের মাধ্যমে আমাদের এই সমস্যার সমাধান করতেই হবে।”


আরও পড়ুন-সুখীর তালিকার বহু যোজন দূরে মোদির দেশ, চিন একে
