ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদব কে অপহরণ করে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ইরানের ছাবাহার এলাকা থেকে। আর এই কর্মকান্ডের অন্যতম হোতা ছিল ইরানের শীর্ষ জঙ্গি মোল্লা ওমর ইরানি। অবশেষে এই জঙ্গিকে ‘পুরস্কৃত’ করল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সম্প্রতি পাক সেনার গুলিতে ইরানের ওই শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পাক সরকারের তরফে। দাবি করা হয়েছে সেনা অভিযানে ইরানির পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে তার দুই ছেলের। ইরানির মৃত্যুকে অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখছে পাকিস্তান।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কুখ্যাত জঙ্গি মোল্লা ওমর ইরানি জশ উল আদাল নামের এক নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রধান। ইরানের কুখ্যাত জঙ্গি হিসেবে পরিচিত সে। ইরানে একাধিক নাশকতার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গি।সম্প্রতিক সময়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ইরানের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল তেহরান। এরপর কার্যত বাধ্য হয়েই ওই জঙ্গিকে খতম করার সিদ্ধান্ত নেয় পাক সরকার। সেই অনুযায়ী গত ১৭ নভেম্বর বালুচিস্তানের কেচ জেলার টুরবাট শহরে ওই জঙ্গিদের হামলা চালায় পাক সেনা। দীর্ঘক্ষন দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ের পর অবশেষে ইরানি ও তার দুই ছেলে নিকেশ হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন:সংস্কৃতি জগতের ২৭ দিকপালকে সরকারি আস্তানা ছাড়ার নির্দেশ কেন্দ্রের
পাক সেনা তরফে এ প্রসঙ্গে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইরানের সেনা বাহিনীকে খুন, সাধারণ নাগরিককে অপহরণ সহ নানা কারণে ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে চাইছিল তেহরান। গত ১৭ নভেম্বর টুরবাট শহরে তাকে গ্রেফতার করতে গেলে গুলি চালাতে শুরু করে ওই জঙ্গি। এরপর দীর্ঘক্ষন দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ইরানি ও তার দুই ছেলে। উল্লেখ্য, কুলভূষণ যাদবকে বর্তমানে গুপ্তচরবৃত্তির জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে পাকিস্তানের জেলে। যদিও পাকিস্তানের এই দাবি অস্বীকার করেছে ভারত। ভারতের দাবি, ব্যবসায়ীক কাজে গিয়েছিল কুলভূষণ। তখন ইরান ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কুলভুষণকে আটক করে পাক সেনার হাতে তুলে দেয় ওমর ইরানি। এর পরিবর্তে পাকিস্তানের থেকে প্রচুর টাকা নেয় সে।