দিলীপ ঘোষের আহ্বান পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান ছত্রধর মাহাতোর

এতটুকু সময় নষ্ট না করে দিলীপ ঘোষের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন জঙ্গলমহলের ছত্রধর মাহাতো।

২০১৯-এর লোকসভা ভোটের সময় বন্দি ছিলেন ছত্রধর৷ মুক্তি পেয়েই যোগ দেন তৃণমূলে। তারপরই তৃণমূলের রাজ্য পদাধিকারী৷ লোকসভা ভোটে প্রতিপক্ষ তুলনায় দুর্বল থাকায়, গেরুয়া শিবির জঙ্গলমহলে চমকপ্রদ ফল করেছে৷ একুশের ভোটে মাঠ আর ফাঁকা নেই৷ ছত্রধর নিজেই এলাকায় প্রবলভাবে আছেন৷ বঙ্গ-বিজেপি বুঝেছে জঙ্গলমহলের ভোট ছত্রধর মাহাতোর হাত ধরেই হবে। তাই তাঁকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ আর তারপরেই দিলীপবাবুর প্রস্তাবের জবাব দিতে মাঠে নামলেন ছত্রধর মাহাতো। পুরোদস্তুর সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষকে।

আরও পড়ুন : এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন শুভেন্দু, তুমুল জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

কিছুদিন আগে গোপীবল্লভপুরে এক জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছত্রধরের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আপনি যে লড়াই মানুষের জন্য করেছেন, তার জন্য তিনি আপনাকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। এখন ভোটের স্বার্থে আপনাকে জেল থেকে বের করে রাজ্য কমিটিতে নিয়ে, আপনার স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছেন। আপনি আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন৷ এটা জঙ্গলমহলের আদিবাসী-মাহাতো’রা মানবে না। আমাদের সঙ্গে আসুন, বিজেপি সম্মান দেবে।” দিলীপের এই কথার রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বিজেপি ভোটের দিকে তাকিয়েই এসব কথা বলছে৷

আরও পড়ুন : তৃণমূল ছাড়তে চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট মিহিরের, কবে অন্য দলে?

এদিকে, দিলীপ ঘোষের আহ্বানের জবাব ছত্রধর মাহাতোই দিয়েছেন ঝাড়গ্রাম শহরের রূপছায়া মোড়ের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে। তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর দলের জেলা ও যুব নেতাদের পাশে বসিয়ে বলেছেন, “দিলীপবাবুরা দ্রুত ইতিহাস ভুলে যান। কয়েকমাস আগেও তিনি ও তাঁর দলের মেজ ও ছোট নেতারাও আমার মাথায় ‘মাওবাদী’ তকমা লাগিয়েছেন৷ দিলীপবাবুরা জানেন না, আমাকে পূর্বতন বাম সরকার মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছিলো৷ সেদিন বাম সরকারের যাঁরা প্রতিনিধি ছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন জার্সি বদলে গেরুয়া জার্সি পরে বিজেপিতে এসে সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।”
জনসাধারণের কমিটির এই নেতা এদিন জানান, তিনি চিরকালই সিপিএম- বিরোধী। তাঁকে ফের রাজনীতির মূলস্রোতে নিয়ে আসার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান। ছত্রধরের ব্যাখ্যা, দিলীপবাবুর ওইসব কথায় কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তাই দিলীপ ঘোষকে জবাব দেওয়া জরুরি ছিলো৷

Previous article২৭ নভেম্বর, শুক্রবারের বাজার দর
Next articleবিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য কোভিড পজিটিভ, রয়েছেন হোম আইসোলেশনে