আন্দোলন অব্যাহত। শুক্রবার ষোলোদিনে পড়ল কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের আন্দোলন। দিল্লির রাজপথে লাগাতার ধরনা, বিক্ষোভের পাশাপাশি এবার আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন কৃষকরা। নতুন তিনটি কৃষি আইনের যৌক্তিকতা চ্যালেঞ্জ করে সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (BKU)। একইসঙ্গে কেন্দ্রের উদ্দেশে কৃষকদের বার্তা, সংশোধন নয়, আইন পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। নতুবা রাজপথে সংঘাত ও দিল্লি ঘেরাও অভিযান জারি থাকবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অবশ্য পাল্টা অনড় মনোভাব নিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে, পুরো আইন বাতিল করার প্রশ্নই নেই। তবে কৃষকদের আপত্তির বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে কয়েকটি সংশোধনী আনতে রাজি সরকার।
আরও পড়ুন : কৃষি আইন কর্পোরেটদেরই স্বার্থরক্ষা করবে, মত কৌশিক বসুর
কৃষি আইন নিয়ে দুপক্ষের এই অনমনীয় অবস্থানে বাড়ছে জটিলতা। কৃষক সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই আন্দোলন আরও তীব্র করার কথা বলে ১৪ ডিসেম্বর দেশজুড়ে সমস্ত জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। দিল্লির প্রবল ঠাণ্ডায় কৃষকরা সীমান্ত এলাকাগুলিতে লাগাতার অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত অসুস্থতা, দুর্ঘটনা ও প্রবল ঠাণ্ডায় ১৫ জন আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানোয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। সরকার কর্পোরেট লবির স্বার্থরক্ষায় কৃষকদের প্রতি অসংবেদনশীল মনোভাব নিচ্ছে বলে দাবি করেছে তারা। কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ সীমান্তের পাশাপাশি জয়পুর থেকে দিল্লিগামী রাস্তাও এবার অচল করে দেওয়া হবে। পরবর্তী কৌশল ও আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে শুক্রবার ফের সিঙ্ঘুতে বৈঠকে বসছে কৃষক সংগঠনগুলি।