ডানা ছাঁটা শুরু রাজীবের, নদিয়ার দায়িত্ব থেকে সরালো দল

তৃণমূল কংগ্রেসে ( TMC) গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ডানা ছাঁটা হলো মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ।(Rajib Banerjee) সরিয়ে দেওয়া হলো নদিয়ার (Nadia Diatrict) দায়িত্ব থেকে।

দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপরই ভরসা রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ( TMC Suprimo)। নদিয়া ও জঙ্গলমহলের ( Nadia & jangalmahal) জোড়া দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলো পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। একুশের ভোটকে সামনে রেখে শাসক দলে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। অবজার্ভার পদ ফেরানো হয়নি। তবে দুই জেলার সংগঠনকে অভিভাবকের দায়িত্বে দেখভালের ভার পড়ল বর্ষীয়ান মহাসচিবের হাতে।

নদিয়ার দায়িত্বে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Monodol) দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু বীরভূমের (Birbhum) মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলার দায়িত্ব সামলে অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডলের পক্ষে সংগঠন চাঙ্গা করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে আলাদাভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে প্রকাশ্যে নানা অসন্তোষের কথা বলছিলেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য রাজীব। যে কারণে মহাসচিবের সঙ্গে তাঁকে বৈঠকেও বসতে হয়েছিল। যদিও এরপরেও মন্ত্রিসভার দুটি বৈঠকে পরপর গরহাজির ছিলেন তিনি। দল যে সেই পদক্ষেপ ভালো চোখে দেখেনি, তা পদ থেকে সরিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হলো। তাছাড়া নদিয়ায় তৃণমূলের নানা গোষ্ঠীর মধ্যে সমন্বয় সাধনও করতে পারছিলেন না রাজীব। অসন্তোষ প্রকাশ্যে আসছিল। যার জেরে ক্ষমতার হাতবদল।

জঙ্গলমহলের (jangalmahal) দায়িত্বে এক সময়ে শুভেন্দু অধিকারী ছিলেন। পরে অবজার্ভার পদ তুলে দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই তিনি দায়িত্ব থেকে সরে যান। তার আগে ঝাড়গ্রামের দায়িত্বে ছিলেন পার্থই। ফলে ফের তিনি সেই দায়িত্ব পেলেন।

সকুমার হাঁসদার (Sukumar Hansda) মৃত্যুর কারণে জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন দুর্বল হতে শুরু করে। জঙ্গলহলের দায়িত্বে সুকুমারই ছিলেন। এই মুহূর্তে জঙ্গলমহলে দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন ছত্রধর মাহাতো (Chatradhar Mahato)। কিন্তু অভিজ্ঞ ও পোড় খাওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিয়ে আসলে ছত্রধরের কাজকে আরও মসৃণ করতে চেয়েছে শাসক দল। দল জানাচ্ছে, অভিভাবকের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তিনি জঙ্গলমহলের দায়িত্ব সামলাবেন। সামনে অবশ্যই থাকবেন ছত্রধর মাহাতো।

 

Previous articleবঙ্গ-কংগ্রেসের নতুন তিন পর্যবেক্ষক
Next articleকাঁথিতে কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে পথে একযোগে বাম-কংগ্রেস