শাহি-ভবনে ভোট- বৈঠক,কেন্দ্রীয় নেতাদের রিপোর্ট দেখে বঙ্গে প্রচার-কৌশল চূড়ান্ত

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) বাসভবনে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন এবং নির্বাচনের প্রচারের পরিকল্পনা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বৈঠক সারলেন বঙ্গ-বিজেপির নেতৃবৃন্দ৷ বিজেপি সূত্রের খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ছাড়াও সম্প্রতি দিল্লির পাঠানো যে নেতারা বাংলার প্রায় সব ক’টি জেলায় ঘুরে গিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এই বৈঠকে ছিলেন৷ ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননরা৷

ওদিকে, জরুরি তলবে দিল্লিতে গিয়েছিলেন বিজেপি’‌র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ( Dilip Ghosh) এবং সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায় (Mukul Ray)৷ এছাড়াও বাংলার রাজনীতির খবর রাখেন এমন বেশ কয়েকজন শীর্ষনেতাও এদিন অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে খবর। এদিন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছে৷ সূত্রের খবর, যে নেতারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে গিয়ে শাহকে রিপোর্ট দিয়েছেন, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রচারের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে৷ বাংলায় দিল্লির পাঠানো দলের মধ্যেই ছিলেন সুনীল দেওধর, দুষ্মন্ত গৌতম, গৌতম তাওড়ে হরিশ দ্বিবেদী ও বিনোদ সোনকার, প্রত্যেকেই অমিত শাহের খুবই ঘনিষ্ঠ। বাংলার সব ক’টি জেলার দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের তৈরি রিপোর্ট নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে৷ মূলত বাংলায় কিভাবে প্রচার চালানো হবে তার খসড়া তৈরি হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্বাচনের আগে
প্রতি মাসে দু’‌বার করে বিজেপি’‌র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং অমিত শাহ প্রচারে বাংলায় আসবেন৷ অবশ্য নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হলে সফরসূচি বদলে যাবে৷
জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে প্রচারকদের একটা তালিকাও তৈরি হয়েছে৷ তালিকায় দলের শীর্ষ নেতারা বা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কবে, কোথায় পদযাত্রা করবেন, সভা বা প্রচার করবেন তা ঠিক হয়েছে। এবার সংযোজিত হয়েছে দলের কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করার বিষয়টিও৷

আরও পড়ুন:টিকাকরণ অভিযানের প্রথম দিনেই ডাহা ফেল কেন্দ্রের অ্যাপ

অমিত শাহ যখন তাঁর ঘনিষ্ঠ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বাংলা নিয়ে আলোচনা করছিলেন তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় এবং অমিতাভ চক্রবর্তী। বৈঠকে রাজ্যে হিংসা বৃদ্ধির প্রসঙ্গও ওঠে৷

Advt