Saturday, November 15, 2025

দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা কংগ্রেসের ভুল ছিল, অকপটে স্বীকার রাহুল গান্ধীর

Date:

Share post:

ঠাকুমার ‘ভুল’ অকপটে স্বীকার করলেন নাতি। বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রেসের অন্য নেতাদের সঙ্গে কোথায় তাঁর পার্থক্য।
ইন্দিরা গান্ধীর (indira gandhi) জরুরি অবস্থা (emergency) ঘোষণার যে সিদ্ধান্ত আজও কাঁটার মত বেঁধে কংগ্রেসকে, তা যে সত্যিই ভুল ও অনভিপ্রেত ছিল মেনে নিলেন রাহুল গান্ধী (rahul gandhi)। এতদিন দেখা যেত জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উঠলেই কৌশলে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেস নেতারা। কিন্তু রাহুল ব্যতিক্রম। কোনও ভণিতা না করে তিনি সরাসরি স্বীকার করলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা তাঁর ঠাকুমার একেবারেই ভুল ও বেঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।

আরও পড়ুন-করোনা-টিকা’র সার্টিফিকেটে কেন মোদির ছবি, নাম? কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের

আমেরিকার কর্নেল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তথা বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসুর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় জরুরি অবস্থা থেকে শুরু করে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছিলেন রাহুল। সেখানেই উঠে আসে ইন্দিরা গান্ধীর জমানায় ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত টানা ২১ মাস দেশে জরুরি অবস্থা জারির প্রসঙ্গ। এই বিষয়ে রাহুল নিজের মতামত জানিয়ে বলেন, আমার মনে হয় ওটা একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এনিয়ে এখন কোনও সন্দেহই নেই। আমার ঠাকুমা পরে নিজেও তা মেনেছিলেন। একইসঙ্গে রাহুল এও বলেন, কংগ্রেস কখনও দেশের সাংবিধানিক কাঠামোকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেনি। আর কংগ্রেসের সেই ক্ষমতাও নেই। আমাদের দলীয় গঠনতন্ত্রই সেই কাজে অনুমোদন দেয় না। কথা প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, এখন দেশে খাতায়কলমে জরুরি অবস্থা জারি না করেও কীভাবে সমস্ত সরকারি ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ভিতর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, তাদের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক কাঠামো নষ্ট করা হচ্ছে। যে অবস্থা অতীতের জরুরি অবস্থার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক।

রাহুলের দাবি, ইন্দিরা জমানার জরুরি অবস্থা এবং মোদি জমানার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (RSS) মতাদর্শের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এমন লোকজন এনে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিকে ভরিয়ে তোলা হচ্ছে। যাতে সবকিছু ভিতর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রাহুল বলেন, নির্বাচনে বিজেপিকে যদি হারিয়েও দেয় কংগ্রেস, তাহলেও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো থেকে গেরুয়া শিবিরের লোকজনকে ছেঁটে ফেলার উপায় নেই। কারণ এভাবেই সুকৌশলে প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে বিজেপি। কোনও প্রতিষ্ঠানই আজ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে পারছে না। বর্তমানে আরএসএস সেই স্বাধীনতার উপরেই আঘাত হানছে। মোদি জমানায় নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসারে গোটা বিষয়টি সম্পাদন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে শুধু গণতন্ত্রের অবক্ষয় নয়, ভারতে গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা হচ্ছে।

Advt

spot_img

Related articles

রবীন্দ্র সরোবরের ছয় ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি: সম্পূর্ণ আইনি পথে কর্পোরেশন

প্রায় পাঁচ দশক পর রাবীন্দ্র সরোবর চত্বরে অবস্থিত ছ’টি ক্লাবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক ভাড়ার চুক্তি করল কলকাতা...

বিহারে কমিশনের কারচুপি, তোপ অখিলেশের: ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ ওমরের

বিহারে এসআইআর প্রয়োগ করে ভোটারদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস-আরজেডির (RJD) মহাজোটের এটাই ছিল বিহার নির্বাচনের মূল...

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কে: ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট JD(U)-এর!

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ২৪৩ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৮৯ আসনে জয়ী। নীতীশ কুমারের জেডিইউ জিতেছে ৮৫ টি আসন।...

জাদুসম্রাটের বাড়িতে বিয়ের আসর! বিজ্ঞাপন দেখে পাত্র পছন্দ মৌবনীর

জিনা বন্দ্যোপাধ্যায় জনে জনে বার্তা রুটি গেল ক্রমে, বিয়ে করছেন মৌবনী শীতের মরশুমে! মেয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পিসি সরকার, সেখান থেকেই পাত্র...