ডায়মন্ডহারবার তাঁর নিজের জায়গা। ভোট প্রচারে বৃহস্পতিবার সেখানেই রোড শো করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কামারপোল পালের মোড় থেকে সরিষা ২৪৬ মোড় পর্যন্ত রোড শো-এ জনজোয়ার। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু কালোমাথা। ব়্যালির শুরু বা শেষ একবারে দেখা যাচ্ছিল না। তিনি যখন মাঝ রাস্তায় তখনও শুরুর জায়গায় প্রচুর লোক দাঁড়িয়ে। সারা রাস্তা জুড়ে তৃণমূলের (Tmc) নেতা-কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বর্ণাঢ্য রোড শো-র শেষে বক্তব্য রাখেন অভিষেক।

নাম না করে এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আক্রমণ করেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির টিকিট পান তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া দীপক হালদার। প্রার্থীকে মেনে নিতে পারেননি দলের কর্মীদের একাংশ। করোনাকালে এই অঞ্চলে কমিউনিটি কিচেন চালু করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের (Dimond Harbour) সংসদ। সেই কথা উল্লেখ করে অভিষেক বলেন, তৃণমূল থেকে সম্মান পাচ্ছিলেন না বলে নাকি বিশ্বাসঘাতকরা দল ছেড়েছেন। গতবছর করোনার সময় বিধায়কের টিকি পাওয়া যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁরাই কমিউনিটি কিচেন করে বাড়িতে বাড়িতে লাগাতার 15 দিন খাবার পৌঁছে দেন। ডায়মন্ড হারবারের মানুষ বিশ্বাসঘাতকদের ক্ষমা করবে না বলেও জানান অভিষেক।

আরও পড়ুন- প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেও কাকদ্বীপে রাজনাথের সভার মাঠ ফাঁকা রয়ে গেল
একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরেন অভিষেক। তৃণমূলের ইস্তেহারে নারী ক্ষমতায়নের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া রয়েছে তাও উল্লেখ করেন।

এদিন অভিষেকের রোড শো ঘিরে তুমুল উদ্দীপনা দেখা যায় দেখা যায় তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। রোড শো শুরু হয়েছিল বিকেলে। যখন তা শেষ হয় তখন সন্ধে নেমেছে। ডায়মন্ড হারবারের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অভিষেক বলেন, “আমার জন্ম হয়েছে কালীঘাটে তবে আমি চাই আমি যেন ডায়মন্ডহারবারের মাটিতে মৃত্যুবরণ করি”।
আরও পড়ুন- শুটিং বিশ্বকাপে অনৈতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করার অভিযোগ, দল তুলে নিল হাঙ্গেরি
