Friday, November 7, 2025

ভোটের মধ্যেই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলো মমতার সরকার, ২ হাজার শয্যার সেফ হোম

Date:

Share post:

“ভোট বড় বালাই” তত্ত্ব থেকে বেরিয়ে এবার মারণ ভাইরাস করোনার (Corona) বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়লো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) রাজ্য সরকার। গণতান্ত্রিক দেশে ভোট (Vote) নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার চেয়েও আগে মানুষের জীবনের সুরক্ষা। কারণ, মানুষের জন্যই রাজনীতি, মানুষের জন্যই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন। তাই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস যেমন ভোটের লড়াই করবে, একইভাবে রাজ্য প্রশাসন মহামারি থেকে মানুষকে বাঁচানোর কাজ করবে।

“আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়লাম। প্রশাসনের এখন একটাই কাজ, মানুষকে বাঁচাতে হবে। মানুষের জন্যই রাজনীতি”, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে আজ, সোমবার উত্তীর্ণ ভবনে একের পর এক বৈঠক শেষে একথা বলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Forhad Hakim)।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভোটের প্রচার ছেড়ে তাঁর এমন ভূমিকাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলে। এদিন ফিরহাদ হাকিমের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাঁর দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা। বৈঠকে ছিলেন উপদেষ্টা চিকিৎসক শান্তনু সেন ও অভিজিৎ চৌধুরী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যে আছড়ে পড়ার পর, তার মোকাবিলা করবার জন্য বিশেষ কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এদিন নেওয়া হল।

আরও পড়ুন-করোনা মোকাবিলার কথা না ভেবে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন মোদি: তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের

জানা গিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় নতুন করে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে “কোয়ারেন্টিন সেন্টার” (Quarantine Centre) ও “সেফ হোম” (Safe Home) তৈরি করবে রাজ্য সরকার। এরমধ্যে উত্তীর্ণতেও ৫০০ শয্যার “সেফ হোম” তৈরি করার ভাবনা চিন্তা করছে প্রশাসন। পাশাপাশি, আনন্দপুরে ৭০০, কিশোরভারতীতে ৫০০ শয্যার ও গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ২০০ শয্যার “সেফ হোম” তৈরি হবে। গত বছরের মত এবারও রাজারহাটেও পরিকাঠামো তৈরি করা হতে পারে। সব মিলিয়ে আপাতত ২০০০ শয্যার “সেফ হোম” তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

 

এ প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘করোনা বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার এখন আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ৫০০, উত্তীর্ণতে ৫০০, গীতাঞ্জলিতে ২০০, আনন্দপুরে ৭০০ বেড নিয়ে সেফ হোম তৈরি হবে। ১০ টি অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে সেফ হোমের বাইরে। প্রথমে কোভিড আক্রান্তকে ‘সেফ হোম’-এ নিয়ে আসা হবে। সেখানে পরিস্থিতি খারাপ হলে তবেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সুস্থ হলে ফের তাঁকে সেফ হোমে আনা হবে, সম্পূর্ণ সুস্থ হচ্ছেন বুঝলে তবেই তাঁকে বাড়ি যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হবে।”

Advt

spot_img

Related articles

দুর্নীতির অভিযোগ তোলা চিকিৎসকই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত! সাসপেন্ড আখতার আলি

আরজিকরের চিকিৎসক তরণীর ধর্ষণ খুনের ঘটনার মধ্যেই আর্থিক দুর্নীতি ঘিরে শোরগোল শুরু হয় আর জি কর হাসপাতালে। গ্রেফতার...

দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

ভয়াবহ দুর্যোগ পেরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর পর্যায়ে উত্তরবঙ্গ। রাজ্য প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের লাগাতার পরিষেবা ও পদক্ষেপে যোগাযোগ...

তালিকায় নাম নেই! কেউ স্ত্রীর জন্য, কেউবা বিএলও-র সামনেই প্রাণ দিলেন

রাজ্যের হাজার হাজার মানুষের নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় আতঙ্কে কেউ আত্মঘাতী, কেউবা...

শিলিগুড়িতে উৎসবের মেজাজেই সোনার মেয়েকে বরণ, নিজের অনুভূতির কথা জানালেন আপ্লুত রিচা

বিগত কয়েক বছর ধরেই পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটের মধ্যে ব্যবধান একটু একটু কমছে। আইসিসি বিশ্বকাপ জিতে ভারতীয় ক্রিকেটেই...