প্রতিপক্ষকে হেলায় উড়িয়ে জয়ী মদন ফের পরিবহণের দায়িত্বে? জল্পনা তুঙ্গে

আগেরবার জিততে পারেননি। কিন্তু তারপরও নিজের কেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেননি মদন মিত্র। কিছুদিন সম্পর্ক না থাকলেও তারপর থেকে আবার পালা করে কামারহাটি সঙ্গে নিজের যোগাযোগ গড়ে তোলেন নতুন করে। এবার আবার তিনি সেই কামারহাটিতে প্রার্থী হয়েছিলেন। এবার বামেদের পাশাপাশি তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু সবাইকে হেলায় উড়িয়ে দিয়ে প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। তার জয়ের সঙ্গে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, ফের তিনি পরিবহণের দায়িত্ব আসছেন কিনা। কারণ, আগের মন্ত্রিসভায় তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিবহণের দায়িত্ব সামলেছেন ।তাই নতুন মন্ত্রিসভায় ফের তার ওপর আস্থা রাখতে পারেন তৃণমূল নেত্রী ।
দলের দু’শোর বেশি আসন, সেই সঙ্গে নিজের জয়- স্বভাবতই নিজের খুশি গোপন করেননি তৃণমূলের এই আমুদে নেতা।
​নিজের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর মদন মিত্র বলেছেন, ২০১৬ সালে এখানে ক্যাপ্টেন ছিল না। এবার খেলা শেষ। মোদি-শাহ এবার ভাবুন ওরা নিজেদের খেলা কবে সাঙ্গ করবেন। আমি মরে গেলেও লোকে আমাকে বলবে না লোকটা গদ্দার ছিল। হিম্মত থাকলে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করুন। আগামী ২৫ বছর বিজেপির ঝান্ডা ধরার লোক থাকবেন না রাজ্যে।
এ দিন শারীর সুস্থ থাকলেও, চোখে-মুখে ধকলের ছাপ স্পষ্ট ছিল স্পষ্ট। কিন্তু বেলা বাড়তেই জয়ের ব্যবধান যখন বাড়তে শুরু করে চেনা মেজাজে ফেরেন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। জয়ের পরে ইতিমধ্যেই নতুন গান বেঁধে ফেলেছেন তিনি। কামারহাটির মানুষের যা রায়, তাতে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে হেলায় হারিয়ে দিয়েছেন মদন মিত্র। কামারহাটির মানুষ যে তাঁর পাশেই ছিল, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।
রবিবার সকালে গণনার শুরুতে দু-এক রাউন্ডে তৃণমূল পিছিয়ে থাকলেও, তারপর থেকে বাড়তে থাকে ভোটের ব্যবধান। দুপুরের পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় ট্রেন্ড। প্রায় প্রতি রাউন্ডের শেষে তৃণমূলই এগিয়ে ছিল। গণনার শেষ পর্বে এসেও  মিলে গেল সেই ইঙ্গিত।

Advt