আলোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে শিরোনামে উঠেছিলেন বাবা রামদেব। দেশবাসীর কাছে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন তিনি। আর ঠিক সেইসময় পতঞ্জলির দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য সংস্থার প্রধান সুনীল বনসলের মৃত্যুর খবর সামনে এল। গত ১৯ মে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুনীল বনসলের। সোমবার সংস্থার পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, আলোপ্যাথি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি।
ডেয়ারি সায়েন্সের বিশেষজ্ঞ, সুনীল বনসল পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের দুধ ও দুগ্ধজাত বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে তিনি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণ তাঁর শরীরে এতটাই ছড়িয়ে পড়েছিল যে তাঁকে ইকমো থেরাপি করাতে হয়েছিল। এমনকি রক্ত জমাট বাঁধছিল তাঁর মাথায়। ইকমো পদ্ধতিতে শরীর থেকে অক্সিজেনহীন রক্তকে বের করে কৃত্রিম ফুসফুসে (অক্সিজেনেটর) তা ঢোকানো হয়। অক্সিজেন যুক্ত এবং কার্বনডাইঅক্সাইড বের করার পর বিশুদ্ধ রক্ত যন্ত্রের মাধ্যমে হৃদপিণ্ডের পরিবর্তে পাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও বাঁচানো যায়নি সুনীলকে।
অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে যখন রামদেব বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সেসময়ই সুনীল বনসলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বনসলের মৃত্যুর পর সংস্থার তরফে জানানো হয়, জয়পুরের রাজস্থান হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বনসলের স্ত্রী সেখানে সিনিয়র হেলথ অফিসার। বনসলের মৃত্যুর পর পতঞ্জলির তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানেও এর প্রভাব পড়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বনসলের চিকিৎসার পিছনে পতঞ্জলির কোনও ভূমিকা নেই। তাঁর স্ত্রী সম্পূর্ণভাবে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।