সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের পথ ধরেই রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। প্রতিশ্রুতি পালনে ২০১১ সালের ১৪ জুন বিধানসভায় সিঙ্গুরের জমি সুরক্ষার বিল বা ‘সিঙ্গুর ল্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিল’ (The Singur Land Rehabilitation and development bill) পাশ হয়। ১০ বছর পরে এই দিনে সে কথা মনে করে বর্তমানে দেশের কৃষকদের অবস্থা নিয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। নিজের টুইটার হান্ডেলে তিনি লেখেন, “এই দিনেই দশ বছর আগে রাজ্য বিধানসভায় সিঙ্গুল ল্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিল পাশ হয়। বহু লড়াই ও বিতর্কের পর বিলটি পাশ হয়েছিল। আমরা কৃষকদের অধিকার রক্ষার জন্য একজোট হয়ে লড়াই করব। তাঁদের জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনব।”

দ্বিতীয় টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন,
“কেন্দ্রের উদাসীনতার জন্য জাতীয় ক্ষেত্রে কৃষকদের নানা দুর্ভোগ হচ্ছে। এটা আমাকে ব্যথিত করে। সমাজের মেরুদণ্ডকে সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে আমাদের একজোট হয়ে লড়াই করে যেতে হবে। তাঁদের অধিকার রক্ষার বিষয়টিকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।”
এই টুইটের (Twitte) মাধ্যমে তৃণমূল (Tmc) নেত্রী’ বুঝিয়ে দেন, কৃষকের অধিকার রক্ষার দাবিতে তাঁর লড়াই জারি থাকবে। সিঙ্গুর আন্দোলনের দশম বর্ষপূর্তিতে জাতীয় ক্ষেত্রে কৃষকদের দুর্দশার সরব হন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্রের নীতির জন্য যে কৃষকদের এই দুর্দশা কার্যত সেটাও বুঝিয়ে দেন তিনি।

দিল্লির সীমান্তে পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানের কৃষকরা একজোট হয়েছিলেন তখনও তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এবারও সিঙ্গুরের জমি বিল পাশ হওয়ার দশম বর্ষপূর্তিতে সেই কৃষকদের পাশে থেকে জাতীয়স্তরে কৃৃষক ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
