Friday, November 14, 2025

সূচনার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ”কৃষক বন্ধু” প্রকল্পে ৬২ লক্ষ চাষিকে অনুদান মমতার

Date:

Share post:

যেমন কথা তেমন কাজ। কোনও অলীক স্বপ্ন নয়, নয় গালভরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। “দুয়ারে ভাষণ” বা “ভাগাড়ে সরকার” নয়, একেবারে প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একের পর এক প্রকল্প। এবং যা শুধু কানে শোনা নয়, চোখেও দেখা যাচ্ছে।

কেন্দ্র যেখানে “কৃষক বিরোধী” আইন পাস করেছে, তখনই নিজেকে আবার কৃষক বন্ধু বলে পরিচয় দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা হওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই রাজ্যের ৬২ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গেল ”কৃষক বন্ধু” প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা। প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুন এই প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খারিফ মরসুমে এই অনুদানের জন্য ১৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল সরকার। এবং কৃষক-হিতৈষী প্রকল্পে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে টেক্কা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা-মাটি-মানুষের সরকার।

যে প্রকল্পের বাস্তব রূপদান সম্পন্ন হলো, সেই প্রকল্পের সূচনা পর্বে মুখ্যমন্ত্রী তথ্য-প্রমাণ সহকারে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা খুব কম। তাছাড়া ২ একর জমি থাকলেই কেবল মাত্র কেন্দ্রীয় প্রকল্পের আওতায় পড়বেন কৃষকরা। কেন্দ্রের প্রকল্পে খেতমজুর, বর্গাদার নেই। কিন্তু রাজ্য সরকার সকলকে দেবে। এটা একটা বড় প্রকল্প। কৃষকদের জন্য সারা ভারতে বাংলায় প্রথম এমন প্রকল্প।

বিধানসভা নির্বাচন পর্বে কেন্দ্রের মোদি সরকারের ”পিএম কিষান সম্মান নিধি” প্রকল্প বাংলায় লাগু না হওয়ায় শাসক দল তৃণমূলকেই নিশানা করেছিল বিজেপি। তখনই পাল্টা ”কৃষক বন্ধু”কে তুলে ধরেছিল ঘাসফুল শিবির। যে প্রকল্পে সমস্ত কৃষক বছরে ৫ হাজার টাকা অনুদান পেতেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব ভোটের আগে চাষিদের কথা দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় ফেরার পর ”কৃষক বন্ধু” প্রকল্পে বার্ষিক অনুদান বাড়িয়ে করা হবে ৬ হাজার টাকা। আর এবার কার্যক্ষেত্রে সেই অনুদান দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বছরে দুই কিস্তিতে সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে অনুদান। আর খেতমজুর ও বর্গাদাররা পাবেন বছরে ৪ হাজার।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের ”কিষান সম্মান নিধি” প্রকল্পে বার্ষিক অনুদান ৬ হাজার টাকা। খাতায়-কলমে যেখানে বাংলার মাত্র ৭ লক্ষ কৃষক পেয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা। কিন্তু রাজ্য সরকারের “কৃষক বন্ধু” প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন প্রায় ৬২ লক্ষ চাষি। ফলে অনুদান ও উপভোক্তা, সংখ্যার বিচারে কেন্দ্রের চেয়ে অনেক বেশি কৃষক-হিতৈষী রাজ্যের প্রকল্প।

আরও পড়ুন- সোমবার থেকে বাড়ছে স্টাফ স্পেশাল মেট্রো, জেনে নিন নয়া সময়সূচি

 

spot_img

Related articles

রাজ্যে আসন্ন WBCS পরীক্ষা: জারি বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত হল ডব্লুবিসিএস-এর পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (PSC, WB) বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মার্চ...

পরিবারে SIR আতঙ্কে মৃত্যুর ছায়া, চাকরির আশ্বাস দিয়ে পাশে তৃণমূল

এসআইআর আতঙ্কে আত্মঘাতী বাবা। অসহায় পরিবার। কী করে হবে দিন গুজরান? ভিটেমাটি চলে যাবে না তো? এসব আতঙ্ক...

গণমাধ্যমই সাঁটিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশী তকমা! জবাব দিতে তৈরি বাংলা

পেশায় শ্রমিক। পেটের দায়ে তারা নানা জায়গায় ছোটেন। কাজের তাগিদে অন্যত্র গেলেই একশ্রেণির মিডিয়া চিৎকার করে ওঠে, ওই...

বিহারের ফলাফলে বাংলা নিয়ে মোদির স্বপ্ন ‘সেগুড়ে বালি’: ধুইয়ে দিল তৃণমূল

একদিকে যখন বিহারে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে, তখন বাংলার বিজেপি নেতারা হঠাৎই আবির খেলা, মিষ্টিমুখে মেতে উঠেছেন। ফলাফল...