Tuesday, August 26, 2025

এক ক্লিকেই বিপদমুক্ত, সাপের কামড়ে অ্যান্টিভেনমের হদিশ দেবে রাজ্যের অ্যাপ

Date:

Share post:

এখনও গ্রাম-বাংলায় সাপের কামড়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তবে সময় মতো চিকিৎসা করা হলে বাঁচতে পারে প্রাণ। আর দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে, বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু একপ্রকার অনিবার্য। কিন্তু বিষধর সাপ কামড়ালে কোথায় পাবেন “জীবনদায়ী” অ্যান্টিভেনম? আপনার এলাকা বা বাড়ি থেকে নিকটবর্তী হাসপাতালের দূরত্বই বা কতট? বিপদের সময় দিশেহারা হয়ে গেলেও এক ক্লিকেই আপনার বা আপনার পরিবার অথবা পরিচিতি, প্রতিবেশিদের প্রাণ বেঁচে যেতে পারে সর্পদংশনের পর।

এখন থেকে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য সব তথ্য পাওয়া যাবে একটি মাত্র ক্লিকেই। সর্পদংশনে মৃত্যুর হার ঠেকাতে এবার নয়া অ্যাপ চালু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। সাপে কামড়ের চিকিৎসাজনিত সমস্ত তথ্যই প্রদান করবে এই ‘’রিয়েলটাইম’’ অ্যাপ্লিকেশন।

কলকাতার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের পয়জেন ইনফরমেশন সেন্টার এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ উদ্যোগে বর্তমানে তৈরি হতে চলেছে এই অ্যাপ্লিকেশনটি। কিছুদিন পরেই তা এসে যাবে গুগল প্লে-স্টোরে। অ্যাপ্লিকেশনটির মধ্যে জিপিএসের সুবিধা থাকায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতাল সংক্রান্ত সমস্ত নথিই দেখা যাবে সেখানে। জানা যাবে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনম মজুত রয়েছে কিনা।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর ভারতে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় কয়েক হাজার মানুষের। আর সেই তালিকায় সব থেকে এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৭ সালের জাতীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওই বছর পশ্চিমবঙ্গে সাপের কামড় খেয়েছেন প্রায় ২৯ হাজার জন। যার মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৫ জন মানুষ। তবে অবিলম্বে চিকিৎসা শুরু হলে অনেকটাই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব মৃত্যুর ঘটনা। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রোগীর মৃত্যু ঘটে অনেকক্ষেত্রে। নতুন এই অ্যাপ গুগল প্লে-স্টোরে চলে এলে সেক্ষেত্রে অনেকটাই সমাধান মিলবে এই সমস্যার।

তবে সকলেই যে সর্পদংশনের পর হাসপাতালে যান এমনটাও নয়। পরিসংখ্যান বলছে, সাপের কামড়ের বাস্তব সংখ্যাটা পরিসংখ্যানের থেকেও বহুগুণ বেশি। কিন্তু সরকারের কাছে দ্বারস্থ না হওয়ায় প্রকাশ্যে আসে না সেই তথ্য। মানুষকে সে ব্যাপারে সচেতন করতেই ‘‘অবিলম্বে’’ নামে আরও একটি অ্যাপ্লিকেশন এনেছিল রাজ্য সরকার। সাপে কাটলে প্রাথমিকভাবে কী করণীয়, তার বিস্তারিত নিয়মাবলী উল্লেখিত ছিল সেখানে। সেই অ্যাপ্লিকেশনের সাফল্যের পরই এই নতুন উদ্যোগ রাজ্যের। তবে সর্পদংশনের অধিকাংশ ঘটনাই ঘটে প্রান্তিক অঞ্চলে। সেখানে এই অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার কতটা কার্যকরী হয়ে উঠবে, তা অবশ্য বলবে সময়।

আরও পড়ুন- তিনধাপে দিঘার উন্নয়ন: সুসজ্জিত মোবাইল ভ্যান প্রদান করে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

 

spot_img

Related articles

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...

ধনধান্যে ভরে, মা এসেছে ঘরে: মুখ্যমন্ত্রীর লেখা-সুরে গান এবার দুর্গাপুজোয়

বাংলা ও বাঙালির বড় উৎসব আর পুজোর গান— এক অপূর্ব মেলবন্ধন। এখন দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা...

প্রধানমন্ত্রী বাংলা ছাড়তেই জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি তৃণমূলকে অপদস্থ করার চক্রান্ত, তোপ কুণালের      

ইডির (ED) হাতে জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) গ্রেফতারি আসলে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) অপদস্থ করার চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী বাংলায়...