তালিবানি আগ্রাসনে লণ্ডভণ্ড আফগানিস্তান যেন রিফিউজি ক্যাম্প

লণ্ডভণ্ড কাবুল এয়ারপোর্ট। ঠিক যেন বাসি বিয়েবাড়ি। ভাঙাচোরা বাক্স, এয়ারপোর্টের ট্রলি, মেশিনগানের খোল, রক্ত। এয়ারপোর্টের একপাশে পড়ে থাকা নীল রঙের স্ক্যানিং ট্রেতে পড়ে দুধের শিশু। কান্নায় বুক ফেটে যাচ্ছে। কিন্তু তাকাবে কে? তারচেয়েও বড় কথা, কে ফেলে গেল তার শিশু সন্তানকে! শুধু কী তাই! শিশু উদ্যানে চলছে অ্যাডল্ট সার্কাস। মেরি গো রাউন্ডে শিশুরা কোথায়? তালিবানি দল সেটাও বাদ দেয়নি। চাপতেই মড়াৎ। তো কী হয়েছে সেটা ছেড়ে পরেরটা। স্ট্রাইকিং জোনে অস্ত্র হাতে তালিবানিদের হিংস্র উল্লাস। দেশের একমাত্র মহিলা মেয়র বিদেশি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি খুন হওয়ার অপেক্ষায় আছি। রাস্তা দিয়ে মুখ ঢেকে বাঁচার জন্য দৌড়চ্ছেন মহিলা চলচ্চিত্র পরিচালক। যেন সিনেমা। এক কথায় কাবুলে নরক গুলজার।

কাবুলে বিমাননবন্দরে বিমান ওড়া বন্ধ। তবু বিমান উড়বে এই আশা নিয়ে অনেকে আসছেন। যদি মেলে, তাহলে দেশ ছাড়বে। দেশের বিমানবন্দর সেটা যে রেস্ট্রিক্টেড এরিয়া কে বলবে? সব পেয়েছির আসর। সবাই রাজা। তালিবানি হিংস্রতা কতোটা মারাত্মক বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। লোকজনকে ভয় দেখানো হচ্ছে এলএনজির গুলি চালিয়ে। কথা না শোনার ফল? মাথা ন্যাড়া করে বেতের বাড়ি। ভিডিও ঘুরছে হাতে হাতে। শহরের এক প্রান্তে মায়ের সামনে থেকে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। মায়ের কাতর আর্তনাদ। মত্ত তালিবানির মোটেই তাতে কিছু যায় আসে না। সংবাদ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রেসিডেন্টের রাজপ্রাসাদের ছবি। সেখানে সোনার কাজ করা চেয়ারে পা তুলে বসে খানাপিনা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। কী মারাত্মক, তা হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে তালিবানিরা।

আরও পড়ুন- অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি কাটিয়ে ফের খুলল বাগড়ি মার্কেট, খুশি বিক্রেতারা advt 19

 

Previous articleজুভেন্তাসেই থাকছেন রোনাল্ডো : সূত্র
Next articleAfghanistan-Taliban Crisis: আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখ নাগরিকদের ভারতে আশ্রয় দেওয়া হবে, জানালেন মোদি