Thursday, August 21, 2025

গণতান্ত্রিক কাঠামোয় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতই চূড়ান্ত বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট

Date:

Share post:

গণতান্ত্রিক(democracy) ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতই গ্রহণযোগ্য বলে জানিয়ে দিলো দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)। পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকার বনাম সাউ সঙ্গীতা মামলায় এই মতামত জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর পঞ্চায়েত সমিতি গণনেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছিল সাউ সঙ্গীতাকে। কিন্তু বছর আড়াই পর সঙ্গীতাকে সরিয়ে নতুন নেতা নির্বাচিত করা হয় বন্দনা ধ্যানেশ্বর মুরকুটেকে। পদ থেকে সরে যাওয়ার পরই সঙ্গীতা বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চে মামলা করেন। যদিও সেই মামলায় তিনি পরাজিত হন। হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সঙ্গীতা যান সর্বোচ্চ আদালতে। দীর্ঘ শুনানির পর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বি আর গাভাই বম্বে হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখেন।

দুই সদস্যের বেঞ্চ এদিন জানায়, আবেদনকারী যখন গণনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন সে সময় দলের সকলেরই তাতে সায় ছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে দলের সকলেই তাঁর ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। নিয়ম অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতই গ্রহণযোগ্য। এক্ষেত্রেও সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত অনুযায়ী সঙ্গীতাকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই।

আরও পড়ুন:পূর্ব ভারতের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় স্থান পেল জেআইএস গ্রুপ ইডুকেশনাল ইনিসিয়েটিভস

আদালতে সঙ্গীতার আইনজীবী জানান, ৫ বছরের জন্য তাঁর মক্কেল গননেতা পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নেতার পদ থেকে সরানোর কোনও নিয়ম নেই। তা সত্ত্বেও মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, যে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে ধরনের বৈঠক একমাত্র গননেতাই আহ্বান করতে পারেন। কিন্তু সঙ্গীতা তেমন কোনও বৈঠক ডাকেননি। কাজেই এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক।

অন্যদিকে মহারাষ্ট্র সরকারের আইনজীবী বলেন, দলের তিন চতুর্থাংশ সদস্যের সম্মতিতেই সঙ্গীতাকে ওই পদ থেকে সরানো হয়েছিল। তাই জেলাশাসক আইন মেনেই ওই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিলেন। উভয় পক্ষের মতামত শোনার পর শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানায়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতই চূড়ান্ত।

একই সঙ্গে সঙ্গীতা তাঁর আবেদনে নেতা-মন্ত্রী কেনা-বেচা বন্ধ করার আর্জি জানান। ওই আর্জির প্রেক্ষিতেও শীর্ষ আদালত এদিন সঙ্গীতার কড়া সমালোচনা করে। দুই সদস্যের বেঞ্চ বলে, আবেদনকারী নিজেই দল বদল করে বিরোধী দলের সমর্থন নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন। এরপরেও তিনি কীভাবে এ ধরনের আর্জি জানান। তিনি নিজেই তো দলের বিরুদ্ধে গিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য বিরোধীদের সমর্থন নিয়েছেন। কাজেই তাঁর মুখে এই কথা মানায় না।

advt 19

 

spot_img

Related articles

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...

নওশাদ-সহ আইএসএফ সমর্থকদের জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত

ধর্মতলার কর্মসূচির নামে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা। বুধবার গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে (Naushad Siddiqui)। বৃহস্পতিবার নওশাদ-সহ...

নোবেল খুঁজতে ব্যর্থ CBI, রাজ্য পুলিশ উদ্ধার করল বুলার পদ্মশ্রী: পুলিশও পদক পাক চান সাঁতারু

হুগলির হিন্দমোটরে সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া পদক অবশেষে উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছে...

মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধনের আগে তৃণমূলকে নিশানা মোদির, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল

রাজ্যে কয়েকটি মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এ-নিয়ে বৃহস্পতিবারই তিনি এক্স হ্যান্ডলে...